পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

48 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত ' [ ৩য় পরিঃ পরদিন আমি তাহার নামে কবিতা বাধিয়া ক্লাসে উপস্থিত। একটার ছুটীর সময় সমস্ত ক্লাসের ছেলেদিগকে ও তন্মধ্যে গঙ্গাধরকে দণ্ডায়মান করিয়া, সেই কবিতা পাঠ করা হইল। সমুদয় কবিতাটী কবিতা যখন পড়া হইল, তখন ছেলেদের করতালিতে ও অট্টহাস্তে । সমুদয় স্কুলের ছেলে জড় হইল। গঙ্গাধর অপমানে কঁাদিয়া ফেলিল ; এবং মাষ্টার মহাশয়ের নিকট নালিশ করিল। কুমারখালির চাদমোহন মৈত্র মহাশয়ের জ্যেষ্ঠপুত্র রাধাগোবিন্দ মৈত্র তখন আমাদের ইংরাজীর মাষ্টার ছিলেন। তিনি কবিতাটা আমার হাত হইতে লইয়া মনােযোগ পূর্বক পাঠ করিলেন ; এবং আমার মস্তকে হাত দিয়া বলিলেন, “তোমার কবিতা বেশ হয়েছে, কিন্তু মানুষকে গলং লি দিয়ে কবিতা লেখা ভাল নয়।” ইহার পর আমার কবিতা তুির্ণিাঙ্গার উৎসাহ বাড়িয়া গেল। : . বাল্যকালের কবিতার খাতা।--ফলতঃ, আমি যে কত ছোট বয়সে কবিতা লিখিতে আরম্ভ করিয়াছি, তাহা মনে নাই। বর্ণপরিচয় হইলেই মা আমাকে কৃত্তিবাসের রামায়ণ পড়িয়া শুনাইতে বলিতেন, অথবা নিজে মুখে মুখে আবৃত্তি করিয়া শুনাইতেন। সেই-সকল কবিতা আমার কানে লাগিয়া ছিল গুপ্তের কবিতা কোনও প্রকারে হাতে গ