পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম বিবাহ -এই জেলিয়াপাড়ার বাসায় থাকিতে থাকিতে বয়ঃক্রম ছিল, তাহাও স্মরণ নাই ; ১২১৩ বৎসরের অধিক হইবে না। আমার মাতুলালয়ের সন্নিকটস্থ রাজপুর গ্রামের ৬/ নবীনচন্দ্র চক্রবর্ত্তীর জ্যেষ্ঠা কন্যা প্রসন্নময়ীর সহিত আমার প্রথম বিবাহ হয়। প্রসন্নময়ীর বয়ঃক্রম তখন দশ বৎসরের অধিক হইবে না। আমাদের দাক্ষিণাত্য বৈদিকদিগের কুলপ্রথা অনুসারে, প্রসন্নময়ীর বয়ঃক্রম যখন একমাস ও আমার বয়ঃক্রম যখন দুই বৎসর, তখন তঁাহার সহিত আমার বিবাহ-সম্বন্ধ স্থির হইয়াছিল। এই বিবাহ কালীন সকল বিষয় আমার স্মরণ নাই। এইমাত্র স্মরণ আছে যে, আমি কানে মাকড়ী, গলায় হার, হাতে বাজু ও বালা পরিয়া বিবাহ করিতে গিয়াছিলাম। বাবা বাজনা ও আলো করিয়া আমাকে লইয়া গিয়াছিলেন। আমাকে লইয়া ষেই আসরে বসাইল, অমনি গ্রামের সমবয়স্ক বালকেরা আসিয়া “ওরে তুই কি পড়িস ? কি পড়িস ?” বলিয়া পরীক্ষা আরম্ভ করিল। আমি অল্পক্ষণ মধ্যে বরোচিত লজ্জা ভুলিয়া গিয়া তাহাদের সহিত বাগযুদ্ধে প্রবৃত্ত হইলাম ; এবং আমাকে তাহারা ঠিকান দূরে থাক, আমিই তাহাদিগকে ঠকাইয়া দিলাম। ইষ্ট; স্মরণ আছে বয়ঃপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা কেহ কেহ বলিতে লাগিলেন, বড় জেঠা” । তৎপরে বাড়ীর মধ্যে লইয়া গেলে সমবয়স্ক বালিকাদিগের কানমলা আরম্ভ হইল। সেইবার ঠকিয়া গেলাম ; কানমলার পরিবর্তে কান মলিয়া দিতে পারিলাম না । নারীদলে আমাকে ঘিরিয়া ফেলিল। এত মেয়ে একত্র দেখিয়া ভ্যাব-চ্যাক লাগিয়া গেল । । পালকী করিয়া বৌ লইয়া আসা।-বিবাহের পর পরদিন যখন এক পালকীতে বরকন্যাকে তুলিয়া দিয়া গৃহাভিমুখে বিদায় করিল, তখন আমার মুস্কিল বোধ হইতে লাগিল। মেয়েট ঘোমটা দিয়া