পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*'bs শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [8ಳ ಗೈಃ নবীন ঠাকুর।—এক দিন আমার স্কুল বন্ধ। সেদিন আমি বাড়ীতে আছি। রাঁধুনী বামুন নবীন ঠাকুর আসিয়া আমাকে বলিল, “ভট্ট বাবু, আমাদের আর একটু তামাক দিন “” আমি প্রথমে বলিলাম, “যা তামাক দিবার কথা কাগজে লেখা আছে, তা ত দিয়েছি ; আবার কেন চাও ?” পরে ভাবিলাম, একটু তামাক বই ত নয়, দিয়া আসি। ভাবিয়া তামাক দিতে গেলাম। ভাড়ার খুলিয়া তামাক দিতেছি, এমন সময় নবীন ঠাকুর আমাকে বলিল, “ভটি বাবু, আমাদের সঙ্গে লাগলে এখানে টিকতে পারবেন না।” রাঁধুনী বামুনের কথা শুনিয়া আমার মনে হইল, ভাড়ারের চাবি আমার হাতে না রাখাই ভাল ; চাকর বাকর আমাকে অন্নাশ্রিত জানিয়া তেমন খাতির করে না ; পদে পদে তাহদের সুঙ্গে বিবাদের সম্ভাবনা । এই ভাবিয়া পর দিন চাবিটা তাহাদিগকে ফিরাইয়া দিলাম। প্রকৃত কারণটা আর কাহাকেও বলিলাম না ; কেবল মাত্র মহেশচন্দ্র চৌধুরীর খুল্লতাত-পুত্র শ্রীশচন্দ্র চৌধুরীকে বলিয়াছিলাম, কিন্তু তঁহাকে গোপন রাখিতে অনুরোধ করিয়াছিলাম। আমি যখন চাবি ফিরাইয়া দিতে গেলাম, তখন কর্ত্তাদের মধ্যে এক জন বলিলেন, “কেন ফিরিয়ে দিচ্ছ ? তোমার উপর আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস, তোমার উপর এ ভার থাকলে আমরা নিশ্চিন্ত থাকি।” এই কথা যখন উঠিল, তখন শ্রীশ আসিয়া তঁহাদের নিকট সমুদয় কথা ব্যক্ত করিলেন। ইহা লইয়া তঁহাদের মধ্যে কথাবার্ত্ত উঠিল, তাহ শুনিতে শুনিতে আমি চলিয়া গেলাম। যাইবার সময় দেখিয়া গেলাম, বড়দা (অর্থাৎ মহেশচন্দ্র চৌধুরী মহাশয়) বারাণ্ডার এক ধারে বসিয়া স্নানের পূর্বে দাঁতন করিতেছেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই চাকর গিয়া বলিল, “ভট বাবু, শীঘ্র আসুন, শীঘ্র আসুন ; ভয়ানক কাণ্ড বেধেছে; বড় বাবু (মহেশ বাবু) আপনাকে ডাক্‌ছেন।” আমি ফিরিয়া গেলাম! গিয়া দেখি বড়দ রান্নাঘরের দ্বারে দাড়াইয়া সিংহগর্জনে নবীন ঠাকুরকে বলিতেছেন, “রাখা রাখা,