পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

#9 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ৪র্থ পরিঃ F r 剿 কি ?” আমি বলিলাম, “আপনি নবীন ঠাকুরকে মাপ করুন, নতুবা আমার মন খারাপ হচ্ছে।” তিনি বলিলেন, “ছিঃ ! তোমরা বড় milky-minded ! সে আপনার কাজের ফল ভুগুক্)। দু দশ দিন যেতে দাও না।” আমি বলিলাম, “সে নিরাশ্রয় হ’য়ে বাজারের দোকান আশ্রয় করেছে, মাথা রাখবার স্থান নাই, খাবার সম্বল নাই, এটা আমার সহ হচ্ছে না।” তখন তিনি চাকর পাঠাইয়া নবীন ঠাকুরকে বাজার হইতে ডাকাইয়া আনিয়া বলিলেন, “দেখ রে দেখ, তুই কি মানুষের অপমান করেছিস্ ! তোর জন্য আমার কাছে মাপ চাচ্ছে। এর জন্যই তোকে আসতে দিলাম। যা, কাজ করগে যা।” নবীন স্বীয় কর্ম্মে প্রতিষ্ঠিত হইল, আমার প্রাণের উদ্বেগ চলিয়া গেল। সেদিনকার সে'-ঘটনা ও মহেশচন্দ্র চৌধুরীর অকৃত্রিম ভালবাসা চিরদিন স্মৃতিতে জাগিয়া রহিয়াছে। মহেশচন্দ্র চৌধুরী মহাশয়ের বাটীতে থাকিয়া নানা উপকার।-ইহাদের ভবনে আসিয়া আমি অনেক প্রকারে উপকৃত হইলাম। প্রথম, মহেশ বাবুর চরিত্র আমার সম্মুখে আদর্শের ন্যায় রহিল। আমি যখনি তঁহাকে দেখিতাম, আমার অন্তরে এক নূতন আকাজক্ষা জাগিতা। দ্বিতীয়তঃ, এখানে আসিয়া রাধা ভাত ও পড়িবার উপযুক্ত গ্রন্থ সকল পাইয়া আমার পড়াশোনার বিশেষ সুবিধা হইল। যদিও বাসাতে আমার ন্যায় অনেকগুলি ছাত্র প্রতিপালিত হইতেছিল, এবং অনেক সময় আমাদিগকে দলবদ্ধ হইয়া এক সঙ্গে বাস ও পাঠাদি করিতে হইত, তথাপি আমার যে স্বাভাবিক নিবিষ্টচিত্ততা আছে, তাহার গুণে আমার পাঠের বিশেষ ক্ষতি হইত না। তৃতীয়তঃ, এখানে আসিয়া সমপাঠী কতকগুলি বালক পাইলাম, তঁহাদের দেখা-দেখি প্রতিদ্বন্দ্বিত হইতে আমার আত্মোন্নতি সাধনের ইচ্ছা অতীব প্রবল হইল। ব্রাহ্মসমাজে যাতায়াত আরম্ভ ।-চতুর্থতুঃ, ব্রাহ্মসমাজ গৃহ আমাদের বাসার নিকট হওয়াতে আমি মধ্যে মধ্যে বক্ততাদি শুনিতে