পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సెఅ শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ gર્થ గ్క দাও।” সেই ভিজা চাউল লইয়া আমি সকলকে দিলাম ; বলিলাম, “ভাল লাগুক না লাণ্ডক আপনার খান, তা না হ’লে ও-ব্যক্তি খাবে না।” আমরা ভিজা চাউল খাইতে প্রবৃত্ত হইলাম। হঠাৎ মনে হইল, শালতিতে এক হাঁড়ি মাষ কলাই বাড়ীর জন্য লইয়া যাইতেছিলাম, সমস্ত দিন ভিজিয়া তাহাতে কল বাহির হইয়াছে। আমি সেই ভিজা কলাই আনিয়া সকলকে চাউলের সঙ্গে খাইতে দিলাম। আমাদের আহারটা বড় মন্দ হইল না। তৎপরে শয়নের ব্যাপার। সেই দরিদ্র ব্রাহ্মণের ঘরে যতগুলি লেপ কঁথা মাদুর ছিল, সমুদয় সমাগত কম্পান্বিত বালক বালিকাদিগকে চাপা দিবার জন্য দিয়াছিল, তাহাতে সে সমুদয় ভিজিয়া গিয়াছে ; কেবল দুইটি সেতলা মাদুর তখনও শুকনো আছে। গৃহস্বামীর পুত্র প্রস্তাব করিল যে, তাহার একটিতে তাহারা সপরিবারে শয়ন করিবে, আর একটিতে আমরা পাঁচ জন শয়ন করিব। আমার সঙ্গের লোকেরা তাহাতে সম্মত হইয়া আদরের সহিত মাদুরটি লাইলেন ; তাহা লইয়া তীহাদের সঙ্গে আমার ঝগড়া হইল। আমি বলিতে লাগিলাম, “ছি ছি ! ও মাদুর নেবেন না, ওরা মাদুরে শুক।” এই প্রস্তাবে সঙ্গের পথিকেরা হাসিতে লাগিলেন, “আমরা পাচ জনে এক মাদুরে শুই, ওরা চার জনে আর এক মাদুরে শুক। এ বিপদে আর ভদ্রতা করবার সময় নাই।” এই কথাতে আমি রাগ করিয়া মাদুরের বাহিরে কাদাতে শুইয়া অগাধ নিদ্রা দিলাম। পর দিন প্রাতে যখন চক্ষু খুলিলাম, তখন দেখি বেশ রোদ উঠিয়াছে। আমার অগ্রেই আর সকলে জাগিয়া প্রাতঃকৃত্য সমাপন করিতেছিলেন । আমি বাহিরে গিয়া দেখি, বৃদ্ধ বৃদ্ধর যুবক পুত্রটি আমাদের শালতির চালকদ্বয়ের সঙ্গে পুকুরে ডুবিয়া ডুবিয়া শালতিখানি তুলিবার চেষ্টা করিতেছে। দেখিয়া, তাহাকে ও প্রকার জলে-ডুবিতে বারণ করিলাম ; কিন্তু সে সে-কথার প্রতি কর্ণপাত করিল না। ক্রমে তিন জনে শালতিখানি