পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sis শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ৪র্থ পরিঃ f ঘটনাতে ভবানীপুরের লোকের চিত্তকে অতিশয় আন্দোলিত করে, আমারও চিত্তকে অতিশয় আন্দোলিত করে। সেই প্রকার মনের ভাব লইয়া কবিতা লিখিতে বসি। কবিতাটি মাতুলের সংবাদপত্র সোমপ্রকাশে “নির্বাসিতের বিলাপ’ নামে প্রকাশিত হয়। মাতুলের হস্তে যখন ‘নির্বাসিতের বিলাপে’র প্রথম কয়েক পংক্তি সোমপ্রকাশে মুদ্রিত করিবার জন্য দিয়া আসিলাম, তখন ভয়ে ভয়েই দিয়া আসিলাম। মনে হইল তিনি ডাকিয়া তিরস্কার করিবেন। মনে করিয়াছিলাম, দুই এক বার লিখিয়া সমাপ্ত করিব। কিন্তু প্রথম বার কয়েক পংক্তি বাহির হইলে, তিনি কলেজে। আমাকে ডাকিয়া অতিশয় সন্তোষ প্রকাশ করিলেন, এবং আরও কবিতা আছে কি না জিজ্ঞাসা করিলেন। আমি অতিশয় উৎসাহিত হইয়া গেলাম। অমনি আরও লিখিতে বসিলাম। এইরূপে সপ্তাহের পর সপ্তাহ সোমপ্রকাশে কবিতা প্রকাশিত হইতে লাগিল। কয়েক বার প্রকাশিত হইতে না হইতে চারি দিকে সমালোচনা উঠিয়া গেল। পথে ঘাটে, ভাড়াটে গাড়িতে লোকে বলিতে লাগিল, “এ “শ্রীশিঃ’ কে হে ?” আমার লাঙ্গুল স্ফীত হইয়া উঠিতে লাগিল। নিজের মনে মনে মস্ত একটা কবি হইয়া দাড়াইলাম । বাস্তবিক তখন আমার কবিতার মধ্যে একটু নুতনত্ব ছিল। ইহাতে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের বাধা মিত্রাক্ষর অথবা মাইকেলের খোলা অমিত্রাক্ষর ছিল না, কিন্তু দুইয়ের মধ্যস্থলে যাহা তাহাই ছিল। ভাবকে ছন্দের বশবর্ত্তী না করিয়া ছন্দকে ভাবের বশবর্ত্তী করা হইয়াছিল। প্রধানতঃ এই জন্য ইহা তখন সকলের দৃষ্টিকে আকর্ষণ করিয়াছিল। দ্বিতীয় বার বিবাহের প্রস্তাব।—আমি যখন কবিতারসে নিমগ্ন আছি, তখন এক পারিবারিক দুর্ঘটনা ঘটিল। কোনও বিশেষ কারণে আমার পিতা আমার পত্নী প্রসন্নময়ীর ও তঁর বাড়ীর লোকের প্রতি v' কুপিত হইয় তাহাকে পিতৃগৃহে পঠাইয়া দিলেন। বলিলেন, তঁহাকে