পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>!z७२-७१ } ধর্ম্মের আদেশে চলিবার 开夺颈 oଳ উমেশ ও আমি চিৎপুর রোড দিয়া আসিতেছি, এমন সময় বৃষ্টি আসিল । তখন কেশব বাবু চিৎপুর রোডে “কলিকতা কলেজ' নামে একটি কলেজ খুলিয়াছিলেন। আমরা বৃষ্টির ভয়ে ঐ কলেজের বারাণ্ডার নীচে গিয়া দাড়াইলাম। উমেশ আমাকে ভিতরে যাইবার জন্য পীড়াপীড়ি করিতে লাগিল ; আমি লজ্জাতে ভিতরে যাইতে পারিলাম না। এমন সময় একটি পশ্চিমে বেহার উপর হইতে নামিয়া আসিল। আমরা কেশব বাবুর কথা জিজ্ঞাসা করাতে সে বলিতে লাগিল, “কেশব বাবু মানুষ নয়, দেবতা ; তঁর কাছে চল, দুটি কথা শুনলে প্রাণ জুড়িয়ে যাবে।” তার প্রভুভক্তি দেখিয়া তাহ পরীক্ষা করিবার জন্য আমরা কেশব বাবুর কল্পিত নিন্দ আরম্ভ করিলাম। তাহাতে সে অতিশয় বিরক্ত হইল ; এবং অবশেষে আকাশের দিকে দুই হাত তুলিয়া কেশব বাবুর দীর্ঘ জীবনের জন্য ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করিতে লাগিল। আমি দেখিয়া স্তব্ধ ও মুগ্ধ হইয়া গেলাম। বলিলাম, “উমেশ, এ সামান্য মানুষ নয়, যার চাকর এত দূর আকৃষ্ট হ’তে পারে।” তখন উমেশ আবার আমাকে কেশব বাবুর নিকট যাইবার জন্য চাপিয়া ধরিল ; কিন্তু আমি লজ্জাবশতঃ যাইতে পারিলাম না । ইহার পরে, উমেশ যোগেন্দ্র ও অপরাপর ক্লাসের ছেলেদের সঙ্গে আমি আমাদের পূর্বতন সহাধ্যায়ী বিজয়কৃষ্ণ গােস্বামী ও অঘোরনাথ গুপ্ত এই বন্ধুদ্বয়ের বাসাতে মধ্যে মধ্যে যাইতে লাগিলাম। ইহারা এক সময় আমাদের সঙ্গে এক শ্রেণীতে পড়িতেন ; কিন্তু তখন ব্রাহ্মধর্ম্ম প্রচারক হইয়াছিলেন। এক দিন রাত্রে বিজয় ও অঘোর আমাকে আর ভবানীপুরে যাইতে দিলেন না, নিজেদের বাসাতে রাখিলেন। আমার স্মরণ আছে যে, সে রাত্রে তাহদের বাসাতে অন্যজাতীয়া স্ত্রীলোকের রাধা ভাত মাটির সানকে খাইয়া সমস্ত রাত্রি এত গা ঘিনীঘিন করিয়াছিল যে ভাল করিয়া ঘুমাইতে পারি নাই।