পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৯ মহালক্ষ্মীর भूड्रा ? Nà Ràd وسواولسوالا বড় অবসন্ন হইয়া পড়িত। তখন পড়া ফেলিয়া দিয়া বাতিরে যাইতে ইচ্ছা! করিত। সেই সময়ে যোগেন ও মহালক্ষ্মীর মুখ মনে করিয়া মনে দুরন্তপ্রতিজ্ঞ আসিত। ভাবিতাম, যাহাঁদের প্রধান উৎসাহদাতা হইয়া এই সংগ্রামের মধ্যে ফেলিয়াছি, তাহদের সাহায্য করিতে না পারিলে কিরূপে নিশ্চিন্ত থাকিব ? প্রাণ থাক। আর যাক, এক বার মরণ র্বাচন চেষ্টা করিয়া দেখিতে হইবে। অমনি মনে প্রার্থনার উদয় হইতে, “হে ঈশ্বর, এই সংগ্রামে আমার সহায় হও ।” তখন দিনের মধ্যে বহু বার প্রার্থনা করিতাম । লোকে যেমন শ্রমের মধ্যে বার বার চা খাইয়া সবল হয়, আমি তেমনি বার বার প্রার্থনা করিয়া সবল হইতাম । এইরূপ শ্রম করিতে করিতে যখন আড়াই মাস পরে পরীক্ষার সময় আসিল, তখন দেখিলাম এক ঘরে আড়াই মাস বন্ধ থাকিয়া ও নীচের ঘরে শুইয়া শুইয়া কোমরে বাত ধরিবার উপক্রম হইয়াছে। পরীক্ষা দিতে যাইবার সময় একটি বালকের কঁাধে হাত দিয়া পরীক্ষার হলে গেলাম ও পরীক্ষা দিয়া আসিলাম । তখন ডিসেম্বরের শেষে পরীক্ষা হইত। মহালক্ষনীর মৃত্যু।–বােধ হয় ১৮৬৯ সালের জানুয়ারীর শেষ ভাগে পরীক্ষার ফল বাহির হইল। তখন আমরা মহালক্ষ্মীর পীড়া লইয়া ঘোর সংগ্রামের মধ্যে আছি। হঠাৎ ওলাউঠা পীড়া হইয়া মহালক্ষ্মী মৃত্যু শয্যায় শয়ানা । তঁহার পীড়া হইলে আমি বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পত্র লইয়া ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকারের শরণাপন্ন হইলাম। তিনি আমাকে পূর্ব ইহঁতেই জানিতেন ও ভালবাসিতেন। আমার ব্যাকুলত দেখিয়া প্রতি দিন মহালক্ষ্মীকে দেখিতে আসিতে লাগিলেন, এবং তঁাহার সাধ্যে যত দূর হয় তাই করিতে বাকি রাখিলেন না। অবশেষে কয়েক দিনের পর মহালক্ষ্মীর শাণ গেল। তখন তিনি ৮৯ মাস কাল সসত্ত্বা। এইরূপ অবস্থাতে মৃত্যু ই3য়াতে প্রাণে বড়ই আঘাত লাগিল। মহালক্ষ্মীর মা ইহার কিছু পূর্বে