পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t੪, ੪ উপেন্দ্রনাথ দাসের বিধবাবিবাহ (ST A96 পরিচিত। আমাদের সঙ্গে আর এক জন ব্রাহ্ম ছিলেন, তিনি প্যারীমোহন চৌধুরী, যিনি পরে আচার্য্য কেশবচন্দ্র সেন মহাশয়ের ‘প্রেরিত দলে’ প্রবেশ করিয়াছিলেন। এই তিন জন ব্রাহ্মের মধ্যে কেন যে আমার দ্বারা উপাসনা করান সকলের মত হইয়াছিল, তাহা আমার স্মরণ নাই। যত দূর মনে হয়, এ পরামর্শ বিবাহের কিঞ্চিৎ পূর্ব্বে স্থির হয়, এবং আমি শেষ মুহূর্ত্ত পর্য্যন্ত জানিতে পারি নাই। আমি ওদিকে কন্যা আনিতে গিয়া এক দল মাতালের হাতে পড়িয়া টানাটানির মধ্যে আছি। আমি যে গাড়িতে করিয়া কন্যাকে আনিতেছিলাম সেই গাড়ি ও আর একখানি গাড়ি একটি ছোট গলির মধ্যে দুই দিক হইতে আসিয়া, পাশাপাশি পার হইতে গিয়া চাকায় চাকায় আটকাইয়া গেল। কোনও খানি বাহির হয় না। আমি গাড়ি হইতে নামিয়া চাকা টানাটানি করিতেছি, এমন সময় এক দল মাতাল আসিয়া উপস্থিত। তাহদের মধ্যে এক জন আমার পরিচিত । মাতালের আমাকে জিজ্ঞাসা করিল, “এ কি বাবা । রাস্ত। আটকেছ কেন ?” যখন কারণ নির্দেশ করিলাম, তখন সকলে কঁধ দিয়া গাড়ি ছাড়াইয়া দিতে প্রবৃত্ত হইল। এক *Its fasti <efs?, "Is there any gentlewoman, <t- ?” Otifs বলিলাম, “হঁ ।” তার পরে আর কেহ গাড়ির দ্বারের কাছেও যায় না, এতই সন্ত্রম দেখাইতে লাগিল। সকলে পড়িয়া কঁধ দিয়া গাড়ি তা ছাড়াইয়া দিল ; কন্যার গাড়ি চাকরের সহিত বিবাহ সভা অভিমুখে ছুটিল ; এদিকে মাতালের চরি৷ পাচ জনে পড়িয়া আমাকে ধরিল, “এত ক’রে গাড়ি ছাড়ালাম বাবা, কিছু দিতে হবে।” তখন আমার মনে ছিল না যে, আমার পকেটে একটা টাকা আছে। আমি অনেক অনুনয় বিনয় করিলাম, বিবাহ সভাতে যাইতে বলিলাম ; কিছুতেই রাজি নয়, আমার চাদর কাড়িয়া লইতে উদ্যত। আধা ঘণ্টা টানাটানির পর মনে হইল যে সঙ্গে একটা টাকা আছে। টাকাটা দিয়া নিস্কৃতি পাইয়া বিবাহ সভাতে যেই