পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sw9v, 9 R || ছুতরের মেয়েটির পরবত্তী জীবন S 8\S) বলা যাউক । তখন আমি সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের আচার্য্য, এবং ব্রাহ্মসমাজ লাইব্রেরি গৃহে বাস করি। এক দিন এক জন ভূত্য কোনও স্ত্রীলোকের একখানি পত্র লইয়া উপস্থিত। খুলিয়া দেখি, সেখানি ঐ মেয়েটির পত্র। সে আমাকে লিখিয়াছে, “বহু বৎসর পূর্বে চাপাতলার দিবীর কোণের এক বাড়ীতে পাড়ার একটি ৭৮ বৎসরের বালিকা আপনাকে ‘দাদা’ বলিত ও কোলে পিঠে উঠিত ; আপনার হয়ত মনে আছে। আমি সেই হতভাগিনী। আমি বিপদে পড়িয়া আপনাকে ডাকিতেছি । এক বার দয়া করিয়া আসিয়া সাক্ষাৎ করিবেন।” আমি মনে করিলাম, বিশেষ বিপদে না পড়িলে এত দিন পরে আমাকে স্মরণ করে নাই ; আমার যাওয়াই কর্ত্তব্য। এই ভাবিয়া তাহার বাড়ীতে গেলাম। গিয়া যাহা শুনিলাম, তাহা এই ৷ আমরা ও তাহার মা চাপাতলা পরিত্যাগ করিলে তাহার মা আর বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নিকট যায় নাই। সে বড় হইয়া উঠিলে তাহার মা তাহাকে পাপ পথে লইয়া গেল। সেই অবস্থা হইতে ক্রমে সে এক ব্যক্তির উপপত্নী রূপে বাস করিতে লাগিল ও তাহার দুইটি পুত্র সন্তান জন্মিল। তাহাদিগকে লইয়া বিবাহিতা স্ত্রীর ন্যায় সুখেই তার কাল কাটিতেছিল। যে ব্যক্তি তাহাকে রাখিয়াছিল। সে তাহাকে একখানি বাড়ী কিনিয়া দিয়াছিল, এবং লেখাপড়া করিয়া তাহাকে কয়েক হাজার টাকার কোম্পানির কাগজও দিয়াছিল। কিন্তু পুত্রদ্ধয় বয়ঃপ্রাপ্ত হইবার পূর্বেই সে ব্যক্তি তাহারই বাড়ীতে গুরুতর পীড়ায় আক্রান্ত হইল। এই অবস্থাতে সে ব্যক্তি কোম্পানির কাগজের লেখাপড়াগুলি ছিড়িয়া ফেলিয়া নিজের বিবাহিতা স্ত্রী ও পুত্রের কাছে গিয়া আশ্রয় লইল । কেবল মাত্র বাড়ীখানি এই মেয়েটির রহিল। ছেলে দুইটি লইয়া সে বিপদ সমুদ্রে ভাসিল। এই অবস্থাতে সে আমাকে স্মরণ করিয়াছিল। * আমি তাহার বাড়ীতে মধ্যে মধ্যে যাতায়াত করিতে আরম্ভ করিলাম । কিছু দিন পরেই দেখিলাম, তাহার এই অবস্থাতে বন্ধুতা দেখাইয়া কুলোক