পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ৫ম পরিঃ তাহাকে ঘিরিতেছে । তখন আমি তাহাকে সে বাড়ী ভাড়া দিয়া আমার নির্দিষ্ট অন্য কোনও স্থানে উঠিয়া আসিবার জন্য অনুরোধ করিতে লাগিলাম। কিন্তু সে তাহা করিল না ; সেই বাড়ীর বাহিরের অংশ ভাড়া দিয়া ভিতরের অংশে পুত্র সহ থাকিতে লাগিল। এক দিন গিয়া দেখি, একটি ১৯২০ বৎসরের মেয়ে কোথা হইতে জুটিয়াছে ; তাহার একটা ইতিবৃত্ত আমাকে বলিল, তাহা এখন স্মরণ নাই। কিন্তু ঐ মেয়ের ঘরে ফরাসি বিছানা তাকিয়া বাধা হুকা প্রভৃতি দেখিলাম। তখন মনে হইল, নিজের রূপ যৌবন গত হওয়াতে তাহাকে অথোপাৰ্জনের আশয়ে আনিয়াছে। তখন আমি বলিলাম, “এই আমার তোমার ভবনে শেষ আসা ।” আমার এই ভগিনীকে অনেক দিন পরিত্যাগ করিয়া অ্যাসিয়াছি, কিন্তু তাহার বিষয় স্মরণ করিয়া এখনও দুঃখ হয় । সে এত দিন পরে ‘দাদা’ বলিয়া স্মরণ করিল, তাহাকে যে হাতে ধরিয়া বিপথ হইতে সুপথে আনিতে পারিলাম না, এই বড় দুঃখ রহিয়া গেল । ঝি ও “ভাল মানুষ বাবু।—মহালক্ষ্মী বঁচিয়া থাকিতে থাকিতে আর একটি ঘটনা ঘটিয়াছিল, যাহা অদ্যাপি স্মৃতিতে উজ্জল রহিয়াছে। এক দিন মহালক্ষ্মীর ভাই ঈশান আসিয়া বলিলেন যে, তাহাদের হাসপাতালে একটি স্ত্রীলোক আসিয়াছে, তাহার গলায় ঘা হইয়া গলা বন্ধ হইয়া গিয়াছে, গলদেশে ছেদ করিয়া তন্দ্বারা আহার করান হইতেছে। তৎপরে আর এক দিন বলিলেন যে, সে স্ত্রীলোকটি কঁাদিয়া তাহাকে বলিয়াছে, “দাদা ঠাকুর, আমাকে রক্ষা কর, একটা কাজ জুটিয়ে দাও, সুস্থ হ’য়ে আমাকে যেন আর পূর্বের ঘুণিত ব্যবসায়ে প্রবৃত্ত হ’তে না হয়।” শুনিয়া আমার বড় দুঃখ হইল। আমি ঈশানকে বলিলাম, “তার একটা কাজের যোগাড় ক’রে দাও ; সে যখন বঁাচ তে চায় তাকে বঁাচাও ; এটা একটা অবশ্য কর্ত্তব্য কর্ম্ম-” শুনিয়া ঈশান হাসিয়া বলিলেন, “হাঃ ! আমার আর কােজ নেই, আমি ওর চাকুরী