পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(8 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত (மூத் পরিঃ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের ভবনে আহারের নিমন্ত্রণ ছিল, তখন আর তাহা মনে থাকিল না। গোপাল মল্লিকের বাড়ীতে গিয়া দেখি, কেশব বাবুর জ্যেষ্ঠ সহোদর নবীনচন্দ্র সেন মহাশয় বাড়ী সাজাইতেছেন। তখনও উন্নতিশীল দলের লোকেরা সেখানে আসিয়া পৌছান নাই। তখন আবার কলুটােলা কেশব বাবুর ভবনাভিমুখে যাত্রা করিলাম। গিয়া দেখি, কেশব বাবুর সদলে সবে ফিরিয়া আসিয়া, ভিক্ষার ঝুলিতে যে টাকা পাইয়াছেন তাহা গুণিতেছেন। আমার পুরাতন সহাধ্যায়ী বন্ধু বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী সে সঙ্গে আছেন। গোসাইজী আমাকে দেখিয়াই “কি ভাই ।” বলিয়া আসিয়া আমার কণ্ঠলিঙ্গন করিলেন। সেই আমাকে উন্নতিশীল দলের সঙ্গে যেন বাধিয়া ফেলিলেন । তৎপরে আমি তাহদের সঙ্গে গোপাল মল্লিকের বাড়ীতে গেলাম। র্তাহারা সেদিন আহার করিলেন না, আমারও আহারের কথা মনে রহিল না । উৎসব মন্দিরে গিয়া সমস্ত দিন উৎসব চলিল। আমি সেই ভিড়ের মধ্যে এক কোণে যে দাড়াইয়া ছিলাম, সেই কোণেই সমস্ত দিন ও রাত্রি দশটা পর্য্যন্ত দাড়াইয়া যোগ দিলাম। সমস্ত দিন যে-কিছু কাজ হইল আমি যেন তাহার ভিতর নিমগ্ন রহিলাম। সায়ংকালে গবর্ণর জেনারেল লর্ড লরেন্স আসিলেন । সেদিন কেশব বাবু Regenerating Faith বিষয়ে উপদেশ দিলেন। এরূপ উপদেশ আমি অল্পই শুনিয়াছি। ধর্ম্মবিশ্বাস যদি নবজীবন আনিয়া না দেয়। তবে তাহ ধর্ম্মবিশ্বাস নয়, এই সত্য আমার সমক্ষে আধ্যাত্মিক জীবনের জন্য একটা নূতন দ্বারা যেন খুলিয়া দিল। আমি উন্নতিশীল দলের সঙ্গে হাড়ে হাড়ে বাধা পড়িলাম। " অথচ শুনিয়া অনেকে আশ্চর্য্য বোধ করিবেন যে, ইহার পরও আমি তাহাদিগের সঙ্গ হইতে লজ্জাবশতঃ দুরে থাকিতাম”। তখন আমি প্রতি দিন ব্রহ্মোপাসনা করিতাম ( যদিও উপবীতটা তখন ছিল ), কিন্তু ব্রাহ্মদের