পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

r്, ) গণেশ সুন্দরীর ব্রাহ্মসমাজে আগমন NSVG গণেশমুন্দরী স্বীয় বিধবা মাতাকে ও ভ্রাতৃগণকে কিছু না বলিয়া মিশনারীদিগের আশ্রয়ে পলাইয়া গেলেন। পরে তিনি আমাকে বলিয়াছিলেন যে, মেম যখন তঁহাকে বলিতেন যে তিনি অনন্ত নরকের ধারে দাড়াইয়া আছেন, তখন ভয়ে তাহার প্রাণ কাপিয়া উঠিত এবং তিনি ত্বরায় যীশুর আশ্রয় লইবার জন্য ব্যগ্র হইতেন। যাহা হউক, যে কারণেই হউক, তিনি মিশনারীদিগের আশ্রয়ে পলাইয়া গেলেন । ইহা লইয়া সহরে তুমুল আন্দোলন ও হাইকোটে মোকদম উপস্থিত হইল। মোকদ্দমায় গণেশ মুন্দরীর ভ্রাতৃগণ হারিয়া গেলেন। সে বয়ঃপ্রাপ্ত ও স্বেচ্ছাক্রমে আসিয়াছে বলিয়া স্থির হইল। আনেদালন ও সংবাদপত্রের গালাগালি চলিতে লাগিল। কেবল সংবাদপত্রের গালাগালি নহে ; এক দিন হাতাহাতিও হইল । সেদিন পাদরী ভন (Vaughan) it(83, *ttest আশ্রয়ে গণেশসুন্দরী ছিলেন, কলেজ স্কোয়ারের কোণে প্রচার করিতে দাড়াইয়াছিলেন। কোথা হইতে গণেশসুন্দরীর ভ্রাত চন্দ্র সন্দলে সুক যুথের ন্যায় আসিয়া পড়িয়া তাহাকে আক্রমণ করিল। পাদরী সাহেব যুধি ঢিল ঢেলা খাইয়া ধাবিত হইয়া সংস্কৃত কলেজের সম্মুখস্থিত শ্যামাচরণ দে বিশ্বাস মহাশয়ের ভবনে আশ্রয় লইয়া নিরাপদ হইলেন। ঐ বাড়ীর লোকে আক্রমণকারী যুবকদিগকে তাড়া করিল, তাহারা কোন গলি দিয়া কোথায় পলাইল। তখন পাদরী সাহেব বলিলেন, “কি বলিব পুরোহিত, নতুবা আমি তিন ব্যক্তি নিপাত করিতে পারিতাম।” শুনিয়া আমরা অনেক হাসিয়াছিলাম । যাহা হউক, সংবাদপত্রের আন্দোলন থামিল বটে, কিন্তু ব্রাহ্ম যুবকগণ গণেশসুন্দরীর ভ্রাতৃগণের সহিত পরামর্শ করিয়া তঁহাকে খ্রীষ্টীয়দিগের হস্ত হইতে উদ্ধার করিবার জন্য লাগিল। শোনা গেল, তিনি খ্রীষ্টীয়গণের নিকট সুখে নাই; আপনার ভ্রম বুঝিতে পারিয়াছেন এবং স্বীয় জননীর নিকট আসিতে চাহিতেছেন ; কিন্তু তিনি জাতিভ্রষ্ট হইয়াছেন বলিয়া