পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ৬ষ্ঠ পরিঃ . হর্বলতা ও কদভ্যাস অনেক চেষ্টাতে দমনে রাখিয়াছিলাম, তাহ আবার মাথা জাগাইয়া উঠে। কিন্তু আমার প্রতি ঈশ্বরের বিশেষ দয়া বলিতে হইবে যে, আমি অচির কালের মধ্যে আত্মদৃষ্টির সাহায্যে নিজের অবস্থা লক্ষ্য করিতে পারি ও তাহার সংশোধনে প্রবৃত্ত হই। দীক্ষার সময় ও এই সময় কয়েকটি কবিতাতে নিজের মনের ভােব ব্যক্ত করিয়াছিলাম। যত দূর স্মরণ হয়, সেগুলি ধর্ম্মতত্ত্ব পত্রিকাতে প্রকাশ হইয়াছিল ; অনুসন্ধান করিলে উক্ত পত্রিকার ফাইলে পাওয়া যাইতে পারে। কেবলমাত্র দুই চারি পংক্তি স্মৃতিতে আছে। পিতৃগৃহ হইতে তাড়িত হইয়া লিখিয়াছিলাম,— ভাসায়ে জীবন তরী বিপত্তির সাগরে, যাই দেব । দেখ দেখ রক্ষা করি আমারে। মোর পক্ষ ছিল যারা, বিপক্ষ হইল তারা, ঘেরিল সকল দিক অপবাদ-আঁধারে, বহিল প্রলয়-ঝড় মস্তকের উপরে। অগ্রে যে আধ্যাত্মিক অবস্থার অবনতির কথা উল্লেখ করিলাম, তাহ লক্ষ্য করিয়া লিখিয়াছিলাম,-- নিজ দলে গেলে পরে সমাদর পাই হে, আপনারে বড় ভাবি তাই হে । কিন্তু কি যে বড় আমি জান তুমি অন্তর্য্যামী, তব অগোচর প্রভু কোন কথা নাই হে। যাহা হউক, দীক্ষা ও সাধারণ সমাদরের ধাক্কা সামলাইয়া উঠিতে কিছু দিন গেল। আমি যে ব্রাহ্ম দলে হঠাৎ কিরূপ সমাদৃত হইয়া পড়িলাম, তাহার প্রমাণ স্বরূপ দুইটি ঘটনার উল্লেখ করিতেছি।