পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vs শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ৭ম পরিঃ - আচার্য্য-পত্নীর সরলতা ও আমার প্রতি অকপট ভালবাসার আর একটি নিদর্শন মনে হইতেছে, তাহ বলিয়া ফেলি। আমি এক দিন স্কুলে পড়াইবার সময় দেখিলাম, তিনি পড়া করিয়া আসেন নাই। তাই তঁহাকে বলিলাম, “দুপুর বেলা খাওয়ার পর ঘরে গিয়ে শয়ন করলে আপনি ত আপনার পতির নিকট কঠিন বিষয়গুলো জেনে নিতে পারেন, পড়া তয়ের ক’রে আসতে পারেন।” তদনুসারে তিনি তৎপর দিন দুপুর বেলা পড়া জানিতে বসেন। কেশব বাবু এটা ওটা বলিয়া দিতেছেন, এমন সময়ে র্তাহার পত্নী বলিয়া উঠিলেন, “যাও যাও, তুমি শিবনাথ বাবুর মত” পড়াতে পার না।” এই কথায় কেশব বাবু খুব হাসিতে লাগিলেন। তৎপরদিন র্তাহারা যখন পতি পত্নীতে একত্র আছেন, এমন সময়ে কোনও কাজের জন্য আমি সেখানে গেলাম। আমাকে দেখিয়া কেশব বাবু হাসিয়া বলিলেন, “শিবনাথ ! তুমি আমার সমক্ষে পড়াও ত, আমি দেখি । তুমি এমন পড়া কি পড়াও যে আমার পড়ান ওর মনে লাগে না ? আমাকে বলেছেন, “তুমি শিবনাথ বাবুর মত পড়াতে পার না”।” আমি হাসিয়া বলিলাম, “বুঝলেন না, আমাকে ভারি ভালবাসেন কি না, তাই আমি যা করি ভাল লাগে। আপনাকে জেনেছেন সর্বোৎকৃষ্ট উপদেষ্টা, আমাকে জেনেছেন সর্বোৎকৃষ্ট শিক্ষক। যা হোক, এ কথা শুনে আমার শ্রমট সার্থক বোধ হচ্ছে।” এই ভারত আশ্রমে বাসকালে আচার্য্য-পত্নীর পতিভক্তি ও শিশুসুলভ সরলতার আর এক নিদর্শন পাওয়া গিয়াছিল, তাহা এখানে উল্লেখ করা ভাল। আশ্রম স্থাপিত হইয়া প্রথমে কিছু দিন ১৩ নম্বর মির্জাপুর ষ্ট্রীট ভবনে ছিল। তখনও “বয়স্থ মহিলা বিদ্যালয়” স্থাপিত হয় নাই। সে সময়ে কেশব বাবু খ্রীষ্টীয় ধর্ম্ম প্রচারিক কুমারী পিগটকে ( Piggot ) vত অনুরোধ করিয়াছিলেন যে, তিনি সপ্তাহের মধ্যে কয়েক দিন বৈকালে আসিয়া আশ্রমবাসিনী মহিলাদের সঙ্গে বসিবেন, তঁহাদের লেখা পড়া