পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भz१७, १8 ] হরিনাভি দাতব্য চিকিৎসালয় ܓ o এক আবেদন প্রেরণ করিলাম। যদিও এই সকল আন্দোলনের ফল হরিনাভি ত্যাগ করিবার পূর্বে আমি দেখিয়া আসিতে পারি নাই, তথাপি সুখের বিষয় এই যে, ইহারই ফলে রাজপুর প্রভৃতি গ্রাম বেহালা হইতে পৃথক হইয়া এক স্বতন্ত্র মিউনিসিপ্যালিটি রূপে পরিণত হইয়াছে এবং গ্রামের অবস্থা অনেক ফিরিয়াছে। দাতব্য চিকিৎসালয় --আমি এই সময়ে আর এক বিষয়ে আন্দোলন উপস্থিত করি, এবং ঈশ্বর কৃপায় তাহাতেও কৃতকার্য্য হই। সোমপ্রকাশে লিখিতে আরম্ভ করি যে, রাজপুর প্রভৃতির ন্যায় ম্যালেরিয়া প্রপীড়িত গ্রাম সকলের মধ্যে একটি গবর্ণমেণ্ট চ্যারিটেবুল ডিসপেনসারি থাকা উচিত। আমি হরিনাভিতে থাকিতে থাকিতেই গবর্ণমেণ্ট এ বিষয়ে মনোনিবেশ করেন । প্রথম ডাক্তার ও ঔষধের বাক্স আমার নিকট প্রেরিত হয়। আমি ডাক্তার মহাশয়কে ও ঐ ডাক্তারখানাকে হরিনাভির এক ভদ্রলোকের বাহির বাড়ীতে স্থাপন করি। পরে সেই দাতব্য চিকিৎসালয়ের অনেক উন্নতি হইয়াছে। স্কুল সংস্কার।-তৃতীয় এক বিষয়ে আন্দোলন উপস্থিত করিতে হয়। সেটি মামার স্কুলটিকে স্থায়ী ভূমির উপর দণ্ডায়মান করিবার চেষ্টা করা। মামা স্কুলটি স্থাপন করিবার সময় একটি অবিবেচনার কার্য্য করিয়াছিলেন। তঁহার মনে বোধ হয় ছিল যে স্কুলটি উঁচু দরের স্কুল হইবে। সে জন্য তিনি শিক্ষকদিগের বেতনের হার চড়াইয়া বাধিয়াছিলেন ; যথা, প্রথম পণ্ডিতের বেতন ৪০২ টাকা। কিন্তু ফল। এই দাড়াইয়াছিল যে, কেহই তৎপূর্ব্বে ঐ উচ্চ হারে বেতন পান নাই ; হের্ড পণ্ডিত মহাশয় তৎপূর্বে পােচ বৎসর মাসে ২৫২ টাকাই পাইয়া আসিতেছিলেন। এইরূপ অপরেরাও স্কুল প্রতিষ্ঠা কালে নির্দিষ্ট বেতন অপেক্ষা অনেক কম বেতন পাইতেন। বেতনের হার বড় রাখার ফল। এই হইয়াছিল যে, যখনই ছাত্র দত্ত বেতন হইতে কিছু টাকা উদ্যুবৃত্ত হইত, তাহা ঐ উচ্চ হারের