পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Se R শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ৮ম পরিঃ কুক্ষিতে যাইত। বহু দিন হইতে বেঞ্চ ম্যাপ গ্লোব লাইব্রেরি প্রভৃতির জন্য কিছু ব্যয় করা হইত না। এ সকলের অতীব অভাব ছিল, অথচ তাহা পূর্ণ হইত না। শিক্ষকদিগের কল্পিত বেতনের হার কমাইয়া আমি স্কুলটির উন্নতি করিবার জন্য কৃতসঙ্কল্প হইলাম ; এবং সর্বাগ্রে আমার বেতন ১০০২ হইতে ৮০২. করিয়া, অপরাপর শিক্ষকগণ তৎপূর্বে পাঁচ বৎসর যাহা পাইয়া আসিতেছিলেন তাহাই তাহদের নির্দিষ্ট বেতন বলিয়া স্থির করিবার জন্য ইনস্পেক্টরকে লিখিলাম। শিক্ষকদিগের মধ্যে তুমুল আন্দোলন উপস্থিত হইল। আমার মাতার জ্যাঠতুতো ভাই কৈলাসচন্দ্র চক্রবর্ত্তী মহাশয় তখন স্কুলের হেড পণ্ডিত ছিলেন ; তিনি এই আন্দোলনে প্রধান নেতা হইলেন । শিক্ষকদিগের মধ্যে কেহ কেহ স্কুল ভাঙ্গিয়া আর এক স্কুল করিবেন বলিয়া ভয় প্রদৰ্শন করিতে লাগিলেন। আমি কিছু দিন চুপ করিয়া থাকিলাম, তঁহাদিগকে গোপনে বুঝাইলাম ; আমার উদ্দেশ্য যে স্কুলটির উন্নতি করা, ইহা ভাল করিয়া দেখাইয়া দিলাম। কিন্তু কিছুতেই তঁাহারা থামিলেন না। অবশেষে এক দিন ছুটির পরে সমুদয় শিক্ষককে একত্র করিয়া ঘড়ি খুলিয়া তাঁহাদের সম্মুখে বসিলাম। বলিলাম, “যিনি যিনি স্কুল ছাড়িয়া যাইতে চান ও স্কুলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করিতেছেন, তঁহাদিগকে দশ মিনিট সময় দিতেছি; ইহার মধ্যে স্থির করিয়া বলিতে হইবে, তিনি থাকিবেন কি যাইবেন। যদি থাকেন, স্কুলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করিবেন না, এই প্রতিজ্ঞা করিয়া থাকিতে হইবে।” সকলেই নিরুত্তর রহিলেন, দশ মিনিটের পর সকল আন্দোলন থামিয়া গেল। কিন্তু অনেকে মনে মনে আমার প্রতি বিরক্ত রহিলেন । কি করিব, কর্ত্তব্য বোধে লোকের অপ্রিয়-হইতে হইল। আর একটি আন্দোলন ইহা অপেক্ষাও গুরুতর হইয়া দাড়াইল। আমি স্কুলের ভার লইয়া দেখি, স্কুলের কয়েকটি শিক্ষক গ্রামস্থ সখের যাত্রার দলে সং সাজেন। এক জন৷ ‘ভগি দিদী” সাজেন, আর এক জন আর একটা