পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

३z१७,१8 ] হরিনাভির স্কুল সংস্কার R e ISO কি সাজেন। ঐ সখের যাত্রার দলটি কতকগুলি নিষ্কর্ম্ম ধনিসন্তানের কার্য্য ছিল। তঁহাদের মধ্যে অনেকে সুরাসক্ত এবং অপরাপর দুক্রিয়াতে লিপ্ত ছিলেন। স্কুলের শিক্ষক দুইটি সেই দলে থাকাতে বালকগণ র্তাহাদিগকে অবজ্ঞার চক্ষে দেখিত ; স্কুলের বোর্ডে লিখিয়া রাখিত, “ভীগি দিদি । চ’টো না”, ইত্যাদি। ইহা আমার পক্ষে অসহনীয় বোধ হইতে লাগিল। আমি এক সাকুলার জারি করিলাম যে, স্কুলের কোনও শিক্ষক সখের দলের অভিনেতার মধ্যে থাকিলে তাহা তঁহার পক্ষে শিক্ষকতার অনুপযুক্ত কাজ বলিয়া বিবেচিত হইবে। ইহাতে ঐ দুই শিক্ষক যাত্রার দল ত্যাগ করিতে বাধ্য হইলেন। সখের দলের ইয়ারের আমার প্রতি হাড়ে চটিয়া গেল। এই ক্রোধ তাহারা বহু দিন হৃদয়ে পোষণ করিয়া, অবশেষে ১৮৭৪ সালের চৈত্র মাসের শেষে গোষ্ঠ যাত্রার সময় সুরার ঝোকে সদলে আমার বাড়ী আক্রমণ করিল ; ও আমার সঙ্গের একটি যুবকের মাথা ফাটাইয়া দিল । যে কারণে তাহারা দাঙ্গা করিতে আসিল, তাহা এই। গোষ্ঠ যাত্রার সময় গ্রামের জমিদার বাবুদের বাড়ীতে মহাসমারোহে ঐ উৎসব সম্পন্ন হইত, এবং স্কুলের সম্মুখস্থিত রাস্তাতে তঁহাদের বাড়ী পর্য্যন্ত হাট বসিত। আমি স্কুল বাড়ীর ভিতর দিকেই সপরিবারে থাকিতাম। ঐ দিন বৈকালে স্কুলের পাঠ গৃহে বসিয়া পড়িতেছি, এমন সময়ে সম্মুখের হাট হইতে একটি ছেলে আসিয়া বলিল যে, এক তাস খেলার দোকানদার তাহার এক সহাধ্যায়ীকে তাসের খেলা দেখাইয়া ঠকাইয়া তার সমুদয় পয়সা লইয়াছে, ছেলেটি কঁাদিতেছে। ইহা শুনিয়া আমি ঐ তাস খেলার দোকানে গেলাম, এবং ছেলেটিকে প্রতারণা করার জন্য তাসওয়ালাকে তিরস্কার করিতে লাগিলাম। বলিলাম, “এরূপ প্রবঞ্চনার খেলা আইন বিরুদ্ধ, আমি পুলিস ইনস্পেক্টরকে জানাইব।” এই বলিয়া চলিয়া আসিলাম।