পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ৮ম পরিঃ مS নালিশ উপস্থিত করিল। সৌভাগ্য ক্রমে এক জন ইংরাজ বিচারকের নিকট এই মোকদম উপস্থিত হইয়াছিল। তিনি সমুদয় বিবরণ জ্ঞাত হইয়া লক্ষ্মীকে মাতার হাত হইতে লইয়া সেই ব্রাহ্ম অভিভাবকের হস্তে অৰ্পণ করিলেন । লক্ষ্মীর মাতা মোকদ্দমাতে হারিয়া আর এক প্রকারে লক্ষ্মীকে হস্তগত করিবার চেষ্টা করিতে আরম্ভ করিল। লক্ষ্মীকে দেখিতে আসিতে আরম্ভ করিল ; বারণ করিলে শুনিত না। এইরূপে, যে গৃহস্থের গৃহে সে আশ্রয় লইয়াছিল, তাহাদিগকে এক প্রকার অস্থির করিয়া তুলিল । তখন উদ্ধারকারী ব্রাহ্মগণ লক্ষ্মীকে নিরাপদ রাখিবার উদ্দেশ্যে কলিকাতায় আনিলেন। আনিয়া, রাখিবার উপযুক্ত স্থান না পাইয়া, হরিনাভিতে আমার নিকট গিয়া উপস্থিত হইলেন। আমি প্রসন্নময়ীর সহিত পরামর্শ করিয়া লক্ষ্মীকে আশ্রয় দিলাম। এখানে বলা আবশ্যক যে, গণেশমুন্দরী বা মনোমোহিনী তৎপূৰ্বেই বিবাহিত হইয়া আমাদের গৃহ ত্যাগ করিয়াছিলেন। পরে এক জন উৎসাহী ব্রাহ্ম যুবকের সহিত লক্ষ্মীমণির বিবাহ হইয়াছিল। কিন্তু সে বেচারি অধিক দিন বিবাহিত জীবনের সুখ ভোগ করিতে পারে নাই। বিবাহের পর তাহারা উত্তরবঙ্গে জলপাইগুড়িতে গিয়া বাস করিয়াছিল। সেখানে এক বৎসরের মধ্যে তাহার মৃত্যু হয়।