পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ ব্রাহ্মসমাজে নিয়মতন্ত্র প্রণালী প্রবর্ত্তনের দ্বিবিধ চেষ্টা । যুবক দলের উপর কেশবচন্দ্রের প্রভাব হ্রাস। ভারত সভা । পঞ্চ প্রদীপ। থাকমণি। খ্রীষ্টীয়া যুবতী। হরিনাভির উৎসবের পর গুরুতর পীড়া । পিতা মাতার সন্তানবাৎসল্য ও ভূত্য খোদাইয়ের প্রভুভক্তি । মুঙ্গোরে কনিষ্ঠা কন্যার মৃত্যু। ‘পুষ্পমালা’ প্রকাশ । ব্রাহ্মসমাজে নিয়মতন্ত্র প্রণালী প্রবর্ত্তনের দ্বিবিধ চেষ্টা। — আমি কলিকাতাতে উঠিয়া আসিলে আমাদের সমদৰ্শী দল আরও জমাট হইল। ব্রাহ্মসমাজে নিয়মতন্ত্র প্রণালী প্রবর্ত্তিত করিবার চেষ্টাও দুই প্রকারে চলিতে লাগিল। প্রথম, ভারতবর্ষীয় ব্রহ্মমন্দিরটি ট্রক্টদিগের হন্তে অৰ্পণ করিবার চেষ্টা করা ; দ্বিতীয়, ব্রাহ্মসমাজ মধ্যে প্রতিনিধি সভা স্থাপনের চেষ্টা করা। কেশব বাবু ব্রাহ্ম সাধারণের বা উপাসক মণ্ডলীর সভা আহবান করা বন্ধ করিয়াছিলেন, সুতরাং আমরা সর্বদা এ আন্দোলন করিবার সুবিধা পাইতাম না। বৎসরের মধ্যে এক বার উৎসবের সময় ব্রাহ্মদিগের যে সম্মিলিত সভা হইত, তাহাতে আমরা ট্রক্ট হন্তে মন্দির অর্পণ করিবার প্রস্তাব উপস্থিত করিতাম। এক বার কেশব বাবু এই বলিয়া আমাদের প্রস্তাব উড়াইয়া দিলেন যে, মন্দিরের দেন আছে, দেন থাকিতে উহা ট্রষ্ট হস্তে অৰ্পণ করা যায় না। দ্বিতীয় বার আমরা ঋণ শোধের জন্য সময় নির্দেশ করিয়া কয়েক ব্যক্তির প্রতি ভার দিলাম।