পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিচ্ছেদ ] भांडांभरी ο Α চাল ডাল অঞ্চল ভরিয়া দান করিতেন; টাকা কড়ি সূর্ব্বদুই হাতে দান করিতেন। এজন্য তঁহার श्रडिंगें পুত্র তাহার হস্তে সংসারের টাকা রাখিতেন না ; আপনাদের নিকট রাখিতেন। কিন্তু মাতামহীর নিজ ব্যয় বলিয়া তাহার হস্তে যাহা দেওয়া হইত, তাহা হইতেই ीिका क्षाका bऊि । এই স্থানে মাতামহী ঠাকুরাণীর সদাশয়তার কয়েকটি নিদর্শন দেখাই । আমার পিতা আমাকে কলিকাতায় রাখিয়া গেলে সময় সময় আমার ভয়ানক অর্থাভাব হইত ; তখন অনন্যেপায় হইয়া আমি মাতুলালয়ে যাইতাম। মামীদিগকে আমার অভাব জানাইতে সাহস করিতাম না। মাতামহী ঠাকুরাণী আমাকে এত ভালবাসিতেন যে আমি মাতুলালয়ে গৈলে, রাত্রে আমাকে স্বীয় শয্যাতে লইয়া, গলা জড়াইয়া শুইতে ভালবাসিতেন। এই নিয়মে তিনি আমাকে অনেক বৎসর পর্যন্ত কাছে রাখিয়াছিলেন। তিক্মিকরূপ স্নেহে আমাকে নিজ বাহু পাশে বাঁধিতেন তাহা স্মরণ করিলে এখনও চক্ষে জল আসে। যাহা হউক, যে জন্য এ বিষয়টা উল্লেখ করিতেছি তাহা এই।—মাতামহী আমাকে নিজের কাছে লইয়া শয়ন করিলে আমি রাত্রে তাহার কানে কানে আমার দারিদ্র্যের কথা বলিতাম ; তিনি গোপনে আমার কাপড়ের খুঁটে তাহার নিজ ব্যয়ের টাকা হইতে হয়ত দুইটি বা চারিটি টাকা বাধিয়া দিতেন, বলিতেন, “এ কথা কারুকে ব’লে না, টাকার কষ্ট হ’লেই আমার কাছে এস।” এখন স্মরণ করিয়া লজ্জা হয়, কি স্বার্থপরতার কাজই করিতাম ! আমার মাতামহী ঠাকুরাণী বড় ধর্ম্মভীরু মানুষ ছিলেন। উপহাসচ্ছলেও। যদি কাহাকেও কিছু দিব বলিয়া মুখ দিয়া কথা বাহির করিতেন, তাহা হইলে তাহা না দিয়া প্রসন্নমনে থাকিতে পারিতেন না ; তাহা দিতেই হইত। দুই একটি দৃষ্টান্ত দিতেছি। এক বার রন্ধনশালার জন্য একটি বড় ঘটী কেনা হইল। ঘটীটি এত বড় যে জলপ্তদ্ধ নাড়াচাড়া