পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ayaw ] কুচবিহার বিবাহে কেশবচন্দ্রের সম্মতি R8v) কিছু বলিলেন না। অবশেষে আমি যখন এই ভাবের কথা বলিলাম, “খাস্তগির মহাশয়ের কন্যার বিবাহে ব্রাহ্মসমাজের আদর্শ রক্ষা হয় নাই বলিয়া তাহাকে আপনারাই কত চাপিয়া ধরিয়াছিলেন ; আপনার কন্যার বিবাহে ব্রাহ্মদের অবলম্বিত কোনও নিয়মের ব্যতিক্রম হইলে ব্রাহ্মেরা আবার সেইরূপ করিতে পারে”, তখন কেশব বাবু অতিশয় বিরক্ত হইলেন। আমি পূর্বে কখনও তঁহাকে এত উত্তেজিত দেখি নাই। আমাদের মনে হইল, আর তঁহাকে বিরক্ত করা উচিত নয়। আমরা উঠিয়া দাড়াইলাম, বলিলাম, “আপনি বিরক্ত হইতেছেন, তবে এ কথা থাক।” এই বলিয়া আমরা চলিয়া আসিলাম । অতঃপর আমাদের দলে মন্ত্রণা চলিল। এই বার সমদৰ্শী দল, স্ত্রী-স্বাধীনতার দল, নিয়মতন্ত্রের দল, সকল দল এক হইল। এমন কি, বুদ্ধ শিবচন্দ্র দেব মহাশয় পর্য্যন্ত আমাদের দলে যোগ দিলেন। সকলেই অনুভব করিতে লাগিলেন, ব্রাহ্মসমাজের পক্ষে মহা বিপদ উপস্থিত। আমাদের মনে কি দুর্ভাবনা উপস্থিত হইয়াছিল, তাহা ভাষাতে বর্ণনা ? করিবার নহে। আনন্দমোহন বাবু তখন মুঙ্গেরে পরিবার রাখিয়া আসিয়া হাইকোটের নিকট আপনার চেম্বারে বাস করিতেন। আমি সর্বদা তঁহার নিকট যাইতাম, এবং দুজনে বসিয়া হায় হায় করিতাম। এমন কত দিন গিয়াছে, আমি তঁহার কোচে বসিয়া আছি, তিনি কোটের দুই পকেটে দুই হাত দিয়া গভীর চিন্তান্বিত ভাবে সেই একটুকু ঘরের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পদচারণা করিতেছেন। দুজনের মুখেই কথা নাই। বহু ক্ষণ পরে এক এক বার কোচের নিকট আসিয়া দাড়াইয়া বলিতেছেন, “শিবনাথ বাবু, কি হবে ? কি করা যায় ?” কেশবচন্দ্রের নিকট প্রতিবাদ পত্র প্রেরণ --অবশেষে স্থির হইল যে সকলে এক দিন একত্রে বসা আবশ্যক। তদনুসারে ৯৩নং কলেজ ষ্ট্রীট ভবনে ইণ্ডিয়ান এসোসিয়েশনের হলে এক দিন রাত্রে সকলে