পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ler ) সমালোচক ও ব্রাহ্ম পাবলিক ও পিনিয়ন 5 8ዓ অপেক্ষা করিতে বলিতে লাগিলেন, কিন্তু অন্তরের বাণী অপেক্ষা করিতে দিল না। ১৫ই ফেব্রুয়ারী শিক্ষা বিভাগের ডিরেক্টরের হস্তে পদত্যাগ পত্র দিয়া নিঃশ্বাস ফেলিয়া বাচিলাম। ১লা মার্চ হইতে স্বাধীন হইয়া এই আন্দোলনে ডুবিলাম। আমার পদত্যাগ পত্র পাইয়া প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রিন্সিপাল সাহেব ও ডিরেক্টর সাহেব আমাকে ডাকাইয়া সে পত্র ফিরাইয়া লইবার জন্য অনেক বলিলেন ; কিন্তু আমি কোন অনুরোধ রক্ষা করিতে পারিলাম না । বন্ধুরা যদি জিজ্ঞাসা করিতেন, “কিরূপে চলবে ?” আমি বলিতাম, “কিছুই জানি না। আর থাকতে १iबूछि न।” তদবধি ঈশ্বর আমার ভার সমুচিত রূপে বহন করিয়া আসিতেছেন। আমি তঁহার করুণার কথা আর কি বলিব ! তিনি যে কিরূপে আমার সকল অভাব পূরণ করিয়া আসিয়াছেন, তাহা ভাবিলে আশ্চর্য্যান্বিত হইতে হয়। যে সকল অভাব আমার কল্পনারও অতীত ছিল, তাহাও তিনি পূরণ করিবার উপায় করিয়া রাখিয়াছিলেন। ধন্য তঁর কৃপা ! সমালোচক ও ব্রাহ্ম পাবলিক ওপিনিয়ন।—এদিকে আমরা আন্দোলন চালাইবার জন্য ১৭ই ফেব্রুয়ারী হইতে “সমালোচক” নামে এক বাঙ্গলা সাপ্তাহিক কাগজ, ও ২১শে মাচ্চর্ণ হইতে “ব্রাহ্ম পাবলিক ওপিনিয়ন’ নামক এক ইংরাজী সাপ্তাহিক কাগজ বাহির করিলাম । দুৰ্গামোহন বাবু ও আনন্দমোহন বাবু উক্ত উভয় কাগজের ব্যয়ভার বহন করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। দুর্গামোহন বাবুৱ কনিষ্ঠ ভ্রাতা ভুবনমোহন দাস মহাশয় ইংরাজী কাগজের এবং আমি বাঙ্গল কাগজের সম্পাদক হইলাম। তাহাতে চারি দিকের ব্রাহ্মগণের মতামত প্রকাশিত হইতে লাগিল । ব্রাহ্মসমাজ কমিটি —এই সকল মতামত ও সংবাদ প্রচার হওয়ায় কলিকাতাতে ও অপরাপর স্থানে ব্রাহ্মদিগের মধ্যে ঘোর আন্দোলন পাকিয়া দাড়াইল। আমরা গভীর চিন্তার মধ্যে পড়িয়া গেলাম।