পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. »wፃህ" ] কন্যাসহ কেশবচন্দ্রের কুচবিহার গমন ર8રે আমাদিগকে ছাড়িতে বাধ্য করে।” আমাদের আপত্তিতে ভাষাটি নরম कझिम्रा Cन७झा झुछ्रेव्ण । এদিকে আমি বড় নরম লোক বলিয়া বন্ধুরা আমার হাত হইতে সমালোচক তুলিয়া লইয়া দ্বারি বাবুর হাতে দিলেন। তিনি একেবারে অগ্নি বর্ষণ করিতে লাগিলেন। যত দূর স্মরণ হয়, সে সময়ে দেবীপ্রসন্ন । রায় চৌধুরী ৯৩নং কলেজ ষ্ট্রীটে আমাদের সঙ্গে থাকিতেন, তিনি দ্বারকানাথ গাঙ্গুলীর সহিত এক যোগে সমালোচকের ভার লইলেন। কন্যাসহ কেশবচন্দ্রের কুচবিহার গমন।-কেশব বাবু ব্রাহ্মগণের প্রতিবাদের প্রতি দৃকপাতও না করিয়া কন্যা লইয়া কুচবিহারে বিবাহ দিতে গেলেন। কুচবিহারে আমাদের লোক ছিল, তঁহার নিকট হইতে আমরা সমুদয় ভিতরকার সংবাদ পাইতে লাগিলাম, এবং সমালোচকে “সারস পাখীর উক্তি’ বলিয়া প্রকাশ করিতে লাগিলাম। সংবাদ পাওয়া গেল,—প্রথম, কেশব বাবু কন্যা সম্প্রদান করিতে পাইলেন না ; দ্বিতীয়, বিবাহে রাজ পুরোহিত ব্রাহ্মণগণ পৌরোহিত্য করিলেন, গৌরগোবিন্দ রায় উপস্থিত ছিলেন মাত্র, কিছু করিতে পান নাই ; তৃতীয়, বিবাহে ব্রহ্মোপাসনা হইতে পারিল না ; চতুর্থ, বিবাহে অগ্নি জালিয়া হােম হইল, বর। সেখানে থাকিলেন, কন্যাকে উঠাইয়া লওয়া হইল ; পঞ্চম, বিবাহ স্থলে রাজকুলের প্রথানুসারে হরগৌরী নামক দুইটি পদার্থ স্থাপন করা হইল, প্রতাপচন্দ্র মজুমদার প্রভৃতি বন্ধুগণের বহু প্রতিবাদ সত্ত্বেও তাহ অন্তহিত করা হইল না, ইত্যাদি। কেশবচন্দ্রের প্রত্যাবর্ত্তন। ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজের মীটিং।—১৮ই মার্চ কেশব বাবু কন্যার বিবাহ দিয়া ফিরিয়া আসিলেন। সহরে ব্রাহ্ম দলে তুমুল আন্দোলন চলিতে লাগিল। তিনি ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজের সম্পাদক ছিলেন। উক্ত সমাজের মীটং ডাকিবার জন্য শিবচন্দ্র দেব প্রমুখ ব্রাহ্মগণের এক আবেদনপত্র ( requisition ) তাহার নিকট