পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেশবচন্দ্র মন্দির অধিকার করিলেন Rè আমরা সেই গোলমালের মধ্যে কয়েকটি f6ts (resolution) পাস করিলাম। একটির দ্বারা কেশব বাবুকে আচার্য্যের পদ হইতে নামান, হইল, অপরটির দ্বারা কয়েক জন আচার্য্য নিয়োগ করা হইল। কেশবচন্দ্র মন্দির অধিকার করিলেন -এই গেল। ২১শে মার্চ বৃহস্পতিবারে। পরবত্তা রবিবারে ( ২৪শে মার্চ ) সংবাদ আসিল যে কেশব বাবু মন্দিরের দ্বারে চাবি দিয়াছেন, এবং মন্দির রক্ষার জন্য কয়েক জন অনুচরকে তন্মধ্যে স্থাপন করিয়াছেন। এই সংবাদ পাইয়াই দ্বারকানাথ গাঙ্গুলী ভায় আমার নিকট আসিয়া উপস্থিত, “চলুন, আমরাও ব্রহ্মমন্দিরের দ্বারে তালা চাবি দিয়া আসি । মন্দির তা আমাদেরও, কারণ সকলে মিলিয়া টাকা দিয়াছি; কেশব বাবু একলা কেন বল পূর্বক অধিকার করিবেন ?” আমি এ সব বিবাদে থাকিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করাতে আমার প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করিয়া, তিনি অপর দুই জন বন্ধুকে লইয়া তালা চাবি দিতে গেলেন । সেই তালা চাবি দেওয়ার ব্যাপার এক কৌতুককর ঘটনা। দ্বারকানাথ গাঙ্গুলী ও দেবীপ্রসন্ন রায় চৌধুরী তালা চাবি লইয়া গেটে উপস্থিত হইয়া দেখেন, তাহাতে তালা চাবি লাগান আছে এবং ভিতরে কেশব বাবুর কয়েক জন অনুগত শিষ্য রহিয়াছেন । ইহারা গিয়া গেটের নিকট দাড়াইবামাত্র তঁহার ছুটিয়া অপর দিকে আসিলেন। তর্ক বিতর্ক ও বাগবিতণ্ডা আরম্ভ হইল। ইহারা বলিলেন, “মন্দির ত কেবল আপনাদের নয়, আমাদেরও। আপনার কেন বল পূর্বক অধিকার করিবেন ? আপনার ভিতরে চাবি দিয়াছেন, আমরা বাহিরে দিব।” এই বলিয়া দ্বারি বাবু ও দেবীপ্রসন্ন বাবু চাবি দিতে প্রবৃত্ত হইলেন। কেশব বাবুর বন্ধুগণ ভিতর হইতে বাধা দিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন। হাত ঠেলা ঠেলি, ধরাধরি, হুড়াহুড়ি চলিল। এই টানাটানির অবস্থাতে ভিতরকার কেশবশিষ্যগণের এক জনের হাতে বোধ হয় গেটের লোহার রেলের আঘাত