পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rey শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ১২শ পরিঃ প্রধান ভাব ছিল, সুতরাং আমরা সমাজের নিয়মাবলী প্রণয়নের সময় এই দুইটি বিষয়ই সমাজের উদ্দেশ্যের মধ্যে প্রধান রূপে লিখিয়া দিয়াছিলাম। ধর্ম্ম বিষয়ে কোনও নূতন মত, বা ধর্ম্মজীবনের কোনও নূতন আদর্শ যে স্থাপন করিতে হইবে, তাহা আমাদের লক্ষ্য স্থলে ছিল না। বরং আমাদের ভাব এই ছিল যে, আমরাই ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজের প্রকৃত কার্য্য করিতেছি। সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের নামটা যে কেমন করিয়া উঠিল, ঠিক মনে নাই। যত দূর স্মরণ হয়, আমাদের প্রধান ভাবের দ্যোতক বলিয়া, আমাদের উৎসাহী বন্ধু পরলোকগত গোবিন্দচন্দ্র ঘোষ মহাশয় এই নামটার উল্লেখ করিয়াছিলেন। গোবিন্দ বাবু ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ স্থাপনকর্ত্তাদিগের মধ্যে এক জন ছিলেন। এক্ষণে আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়া সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের স্থাপন বিষয়ে ও ইহার প্রথম নিয়মাবলী নির্ণয় বিষয়ে অনেক সহায়তা করিয়াছিলেন। এমন কি, এই সময়ে তঁহার এক পুত্রের নামকরণ হইল, তাহার নাম ‘সাধারণচন্দ্র’ রাখিলেন। নাম শুনিয়া আমরাই হাসিলাম, অপরে হাসিবে তাহাতে আশ্চর্য্য কি ? নামকরণ অনুষ্ঠান হইতে ফিরিবার সময় আমি আনন্দমোহন বাবুর গাড়িতে আসিতেছিলাম। ‘সাধারণচন্দ্র” নাম লইয়া গাড়িতে খুব হাসাহাসি হইতে লাগিল। আনন্দমোহন বাবু বলিলেন, “আমার ছেলের নাম দিবার সময় তার নাম “আনুষ্ঠানপদ্ধতিচন্দ্র” রাখিব।” নূতন সমাজের নামটা কি হয়, নামটা কি হয়, আমাদের মধ্যে কিছু দিন এই আলোচনা করিয়া, অবশেষে এক দিন কতিপয় বন্ধু মিলিয়া আমরা মহৰ্ষির চরণ দর্শন করিতে গেলাম। তিনি তখন চুচুড়া সহরে গঙ্গাতীরস্থ এক ভবনে একাকী বাস করিতেছিলেন। তিনি ‘সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ” নামটা শুনিয়া বল্লিলেন, “বেশ হয়েছে। আমাদের সমাজের নাম ‘আদি’ সমাজ, আমরা কালে আছি। কেশব