পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२७२ শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচরিত [ ১২শ পরিঃ আমার মনের ভাব ছিল যে, রাজা রামমােহন রায়ের সময় হইতে যে আধ্যাত্মিক ও সর্বজনীন মহা ধর্ম্মের ভাব প্রচারিত হইয়া আসিতেছে, তত্ত্বকৌমুদী তাহাই প্রচার করিবে। ১৮৭৮ সালের ১৬ই জ্যৈষ্ঠ (২৯শে মে) তত্ত্বকৌমুদীর প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। অনেক দিন এরূপ হইত, তত্ত্বকৌমুদীর প্রত্যেক পংক্তি আমাকে লিখিতে হইত। সাহায্য করিবার কাহাকেও পাইতাম না। এক এক দিন এমন হইয়াছে, দুই পত্রিকা এক দিনে বাহির হইবার কথা । প্রত্যুষে স্নান ও উপাসনান্তে প্রেসে বসিয়াছি, ব্রাহ্ম পাবলিক ও পিনিয়নের কােজ সারিয়া তত্ত্বকৌমুদীর কাজ, তত্ত্বকৌমুদীর সে কাজ সারিয়া ব্রাহ্ম পাবলিক ও পিনিয়নের কাজ, এইরূপ সমস্ত দিন চলিয়াছে। মধ্যে এক ঘণ্টা আহার করিয়া লইয়াছি। কাজ সারিয়া রাত্রি দশটাতে শয্যাতে যাইবার কথা, কিন্তু তখনই হয় ত নিয়মাবলী প্রণয়ন কমিটিতে গিয়া বসিতে হইল। এক দিনের কথা স্মরণ আছে, যেদিন প্রাতে ৬টার সময় বসিয়া রাত্রি ১১টা পর্য্যন্ত এক দিনে এক পুস্তিক রচনা করিলাম, তাহার নাম “এই কি ব্রাহ্ম বিবাহ ?” নিয়মাবলী প্রণয়ন । আনন্দমোহন বসু -ওদিকে প্রথম নিয়মাবলী প্রণয়নের ব্যাপার এক মহা শ্রমসাধ্য ব্যাপার হইয়া উঠিল। এক আনন্দমোহন বসু ব্যতীত আমরা আর সকলেই নিয়মতন্ত্র প্রণালী বিষয়ে অনভিজ্ঞ ছিলাম। তিনিই এ বিষয়ে আমাদের সারথি হইলেন ; তঁহার ভবনে নিয়মাবলী প্রণয়ন কমিটির অধিকাংশ অধিবেশন হইত। সে সকল অধিবেশনে চিন্তারও শেষ ছিল না, তর্কেরও শেষ ছিল না। কিরূপে নিয়মপ্রণালী সর্বাঙ্গসুন্দর হয়, কিরূপে অতীত কালের ভ্রম প্রমাদ আর না ঘটে, কিরূপে ব্রাহ্মগণের মধ্যে একতা স্থাপিত হয়, কিরূপে ব্রাহ্মসমাজের কার্য্যে আবার শক্তি সঞ্চার হয়, এই সকল চিন্তা সকলেরই মনে প্রবল থাকিত। তৎপরে নিয়মাবলীর পাণ্ডুলিপি