পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9-নিয়মাবলী প্রণয়ন । আনন্দমোহন বসু &V با ۹ براد মফঃসল সমাজ সকলে প্রেরিত হইয়া, চারি দিক হইতে প্রস্তাব সকল আসিতে লাগিল। সেই সকলের বিচারের জন্য দিনের পর দিন কমিটির অধিবেশন হইতে লাগিল। আমি হাসিয়া আনন্দমোহন বাবুকে বলিতাম, “এ কমিটি তো “কমি’টি রইল না, এ যে “বেশী’টি হ’য়ে গেল।” এক দিনের কথা মনে আছে। সেদিন প্রাতে ৬টা হইতে অপরাহ ৬॥টা পর্য্যন্ত আমি ব্রাহ্ম পাবলিক ও পিনিয়ন ও তত্ত্বকৌমুদীর কাজে মগ্ন আছি, সন্ধ্যার সময় আনন্দমোহন বাবুর পত্র আসিল যে সেই দিন নিয়ম প্রণয়ন কমিটিতে আমার থাকা চাই। তদুত্তরে আমি, লিখিলাম যে, “আমাকে বাদ দিয়া কাজ করুন ; আমি প্রাতঃকাল ৬টা হইতে এই সন্ধ্যা পর্য্যন্ত কাজে মগ্ন আছি।” তদুত্তরে তিনি লিখিলেন, আমাকে যাইতেই হইবে ; রাত্রিকালের আহার ও শয়ন তঁহার গৃহেই। হইবে। সেখানে গিয়া আহার করিয়া আমরা ৯৷৷ টার সময় নিয়ম প্রণয়ন কার্য্যে নিযুক্ত হইলাম। নিয়মাবলীর বিচার করিতে করিতে রাত্রি একটা বাজিয়া গেল। আমি আর বসিতে পারি না ; নিদ্রাতে চক্ষুদ্বয় অভিভূত হইয়া আসিতেছে। অবশেষে বন্ধুদিগকে প্রশ্ন বিশেষের বিচারে অভিনিবিষ্ট দেখিয়া, আমি অজ্ঞাতসারে আনন্দমোহন বাবুর ডিনার টেবিলের নীচে নামিয়া পড়িলাম, ও ম্যাটিঙের উপর শুইয়া নিদ্রিত হইলাম। প্রায় ৩টা রাত্রির সময় আমার অনুপস্থিতি তঁহাদের লক্ষ্য স্থলে পড়িল । তখন আমার অন্বেষণ আরম্ভ হইল। আমি কিছুই জানি না, অঘোরে ঘুমাইতেছি। অবশেষে আনন্দমোহন বাৰু টেবিলের নীচে উকি মারিয়া দেখেন, আমি ঘুমাইতেছি। তখন মহা হাসাহসি পড়িয়া গেল। তখন তিনি আমার দুই ঠ্যাং ধরিয়া টানিয়া আমাকে বাহির করিলেন, এবং উঠিয়া চলিয়া চক্ষে জল দিয়া নূতন প্রস্তাব শুনিবার জন্য অনুরোধ করিলেন । এখানে আনন্দমোহন বসু মহাশয়ের বিষয়ে কিছু বলা আবশ্যক ।