পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেহার প্রদেশে প্রচার যাত্রা ہوج বিদ্যারত্ন ভায়া পূর্ব্ব হইতেই আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়া কার্য্য করিতেছিলেন। তিনি ব্রাহ্মধর্ম্মে দীক্ষিত হওয়ার পর তঁহার পত্নী তাহার সঙ্গে আসিলেন না। তঁহার শ্বশুর এক জন প্রসিদ্ধ তান্ত্রিক সাধক ছিলেন, এবং বিষয়ে নির্লিপ্ত হইয়া স্থানে স্থানে ভ্রমণ করিতেন। তিনি বোধ হয়। বালিকা কন্যাকে ব্রহ্মজ্ঞানীর সঙ্গে আসিতে দিলেন না। যে কারণেই হউক, তঁাহার পত্নী জ্ঞানদা অনেক বৎসর আমাদের কাছে আসেন নাই। সুতরাং বিদ্যারত্ন ভায়া নিজ শ্বশুরের ন্যায় স্বাধীন ভাবে নানা স্থানে ব্রাহ্মধর্ম্ম প্রচার করিয়া ভ্রমণ করিতে লাগিলেন ; সমদৰ্শী দলের সহিত কেশব বাবুর দলের মিশ খাইতেছে না দেখিয়া তিনি আর সে দিকে ঘেসিলেন না, স্বাধীন ভাবেই কার্য্য করিতে লাগিলেন। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ তঁহাকে বিশেষ অনুগ্রহ করিতেন ও তঁাহাকে সাহায্য করিতেন। সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ স্থাপিত হইলে তিনি ইহার উৎসাহী প্রচারকদিগের মধ্যে এক জন হইলেন, সুতরাং তঁহাকেও মনোনীত করা হইল । বাবু গণেশচন্দ্র ঘোষ ইতিপূর্ব্বে আসামে বিষয় কার্য্যে লিপ্ত ছিলেন। এই সময় বিষয় কার্য্য হইতে অবস্থিত হইয়া স্বাস্থ্য লাভের উদ্দেশ্যে মুঙ্গের সহরে আমার পরিবারগণের সহিত বাস করিতেছিলেন। সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ স্থাপিত হইলে, তঁাহারও প্রচারক দলে প্রবেশ করিবার ইচ্ছা হইল। তিনিও মনোনীত হইলেন। বেহার প্রদেশে প্রচার যাত্রা ।—প্রচারক পদে মনোনীত হইয়াই আমরা নানা দিকে প্রচার কার্য্যার্থ বহির্গত হইয়াছিলাম। ২৪শে মে ১৮৭৮ তারিখে আমি বেহার ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দিকে যাত্রা করি । প্রসন্নময়ী ও বিরাজমোহিনী তখন সন্তানদিগকে লইয়া মুঙ্গেরে বাস করিতেছিলেন, আমি প্রথমে সেখানে গেলাম। সেখানে দ্বারকানাথ বাগচী নামে এক জন সুগায়ক ব্রাহ্ম বন্ধু ছিলেন। তঁহাকে সঙ্গে লইলাম। তিনি আমার অনুরোধে বিষয়কর্ম্ম হইতে ছুটি লইয়া আমার