পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૧૨ শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ১২শ পরিঃ This is my unconditional gift আমি মনে ভাবিলাম, छेी নিয়োগ প্রভৃতি যে সকল বাধাবাধি অগ্রে ছিল, তাহ রাখিলেন না। চেকখানির প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া দেখি, সাত হাজার টাকার চেক ! অগ্রে বন্ধুদের মুখে শুনিয়াছিলাম, তিনি দুই হাজারের অধিক দিবেন না। এরূপ ইচ্ছা প্রকাশ করিয়াছেন। সুতরাং আমরা দুই হাজার টাকারই প্রত্যাশা করিতেছিলাম। সাত হাজার টাকা দেখিয়া আমি বিস্মিত হইয়া গেলাম। মহর্ষি ( আমার মুখের দিকে চাহিয়া )। কেমন, সন্তুষ্ট ত ? আমি। একটা বড় খারাপ হ’ল। আর একটু বসব মনে করেছিলাম, কিন্তু ওটা পেয়ে আর বসতে ইচ্ছা করছে না। দৌড়ে গিয়ে দলে খবর দিতে ইচ্ছা করছে। মহর্ষি ( হাসিয়া )। তবে যাও। আমি চলিয়া গেলাম। কিন্তু এমনি আনন্দের আবেগ যে, চেকখানি পকেটে না পূরিয়া মহৰ্ষির ঘরেই ফেলিয়া গেলাম! পথ হইতে আবার ফিরিয়া আসিলাম। ইহা হইয়া অনেক হাসাহাসি হইল । তখন সন্ধ্যা সমাগত। আমি ছুটিয়া একেবারে আনন্দমোহন বাবুর মটুস লেনস্থ ভবনে গিয়া উপস্থিত হইলাম। গিয়া দেখি, তঁহার কয়েক জনে বসিয়া সমাজের নানা বিষয়ে আলাপ করিতেছেন। আমি চেকখানি মিষ্টার বোসের সমক্ষে রাখিবামাত্র তিনি দেখিয়া করতালি দিয়া উঠিলেন, এবং চেয়ার হইতে উঠিয়া সজোরে আমাকে বক্ষে চাপিয়া ধরিলেন। তৎপরে বন্ধু গোষ্ঠীর মধ্যে মহা আনন্দ ধ্বনি উঠিল। মিষ্টার বোস তখনই প্রচুর মিষ্টান্ন আনাইলেন। সকলে মনের আনন্দে মিঠাই খাইলাম। ইহার পরে গুরুচরণ মহলানবিশ ও আমার উপরে মন্দির-নির্ম্মাণের ও অর্থ সংগ্রহের ভার প্রধানতঃ পড়িয়াছিল। আমি বেহার, উত্তর-পশ্চিম, পাঞ্জাব, মধ্য ভারতবর্ষ প্রভৃতি ভ্রমণ করিয়া আরও অনেক হাজার টাকা তুলিয়াছিলাম।