পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পশ্চিমে প্রচার যাত্রা Rrè ক্ষুধা যেন মিটিত না। র্তাহার নিজের পুত্র কন্যা ছিল, তথাপি কোনও বালিকাকে নিরাশ্রয়া দেখিলে, তাহাকে নিজ ক্রোড়ে না লইয়া যেন স্থির থাকিতে পারিতেন না। এইরূপে অতঃপর আমাদের গৃহে সর্ব্বদাই পাচ ছয়টি করিয়া উপরি বালিকা থাকিত । ইহাদিগকে লইয়া আমরা পরম সুখে বাস করিতাম। অনেক সময় আমাদের দুই তিনটির বেশী শয়ন ঘর থাকিত না । প্রসন্নময়ীর সন্তানদের সঙ্গে দুই একটি, আমার সঙ্গে আমার ঘরে দুই একটি, বিরাজমোহিনীর সঙ্গে তার ঘরে দুই চারিটি বালিকা থাকিত, এইরূপে চলিত। প্রসন্নময়ী ও বিরাজমোহিনী এই বৃহৎ পরিবারের জন্য রন্ধন করিতেন ও ইহাদিগকে পালন করিতেন । এই বালিকাদের অধিকাংশ পরে বিবাহিত হইয়া সুখে ঘরকন্না করিতেছেন, কেহ কেহ বা শিক্ষা লাভ করিয়া নিজে অর্থোপাৰ্জন করিয়া পরোপকার ধর্ম্ম পালন করিতেছেন । সেজন্য জগদীশ্বরকে ধন্যবাদ । পশ্চিমে প্রচার যাত্রা -তত্ত্বকৌমুদীর ও ছাত্র সমাজের কার্য্যের ব্যবস্থা করিয়া এবং প্রসন্নময়ী ও বিরাজমোহিনীকে কলিকাতায় স্থাপন করিয়া, আমি ১৮৭৯ সালের মে মাসে আবার প্রচারে বহির্গত হই। এবার কমিটি স্থির করিলেন যে, আমি উত্তর-পশ্চিম, পাঞ্জাব, সিন্ধু, বোম্বাই, গুজরাট ও মান্দ্রাজ প্রভৃতি সমগ্র ভারতবর্ষ প্রদক্ষিণ করিব। আমি তদনুরূপ প্রস্তুত হইতে লাগিলাম। কিন্তু ভারত প্রদক্ষিণের প্রধান আয়োজন যে অর্থ, সেদিকে আমারও দৃষ্টি নাই, সমাজের কর্ম্মচারীগণেরও দৃষ্টি নাই। আমি ভাবিয়া রাখিয়াছি, সমােজ আপীস হইতে টাকা লইব, লইয়া যাত্রা করিব। মনে মনে স্থির করিয়াছি যে, একেবারে আগ্রায় যাইব, যাইবার সময় বাঁকিপুর বা এলাহাবাদে নামিব না, কারণ পূর্ব্ব বৎসর ঐ সকল স্থানে গিয়াছিলাম। বিশেষতঃ অগ্রেই সংবাদ পাইয়াছিলাম যে, আমার বন্ধুবর আগ্রা প্রবাসী নবীনচন্দ্র রায় শীঘ্র কর্ম্ম হইতে ছুটি লইয়া সপরিবারে তঁহার জমিদারী ব্রাহ্মগ্রামে গমন করিবেন। তঁহারা