পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rao শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ১৩শ পরিঃ না, ) এই তিনটি কথা একখান কাগজে লিখিয়া ঐ বুলিতে মারিয়া দিলাম ; বলিয়া দিলাম, এই ভাবেই কাজ করিবে । মুলতান।—এই ভাবেই আমরা মুলতান হইয়া সিন্ধু দেশের অভিমুখে যাত্রা করিলাম। এই মূলতান বাস কালের একটি স্মরণীয় ঘটনা আছে। আমরা মূলতানে গিয়া দেখিলাম যে কয়েকটি বাঙ্গালী পরিবার কর্ম্মোপলক্ষে সেখানে বাস করিতেছেন। তদ্ভিন্ন পাঞ্জাবীদিগের মধ্যে কতকগুলি শিক্ষিত লোক একটি ব্রাহ্মসমাজ করিয়াছেন। ঐ সমাজে শিক্ষিত বাঙ্গালীদিগের কেহ কেহ যোগ দিয়া থাকেন। আমরা সেখানে পৌছিলে বাঙ্গালী ও পাঞ্জাবী সকলে মহা উৎসাহে আমাদিগকে অভ্যর্থনা করিয়া লাইলেন। যত দূর স্মরণ হয়, আমি এক জন বাঙ্গালী ভদ্রলোকের গৃহে রহিলাম ; লালসিং ও তৎসন্নিকটে এক পাঞ্জাবী বন্ধুর গৃহে রহিলেন। বাঙ্গালী বন্ধুটির গৃহে আমার আদরের সীমা পরিসীমা রহিল না। তঁহার পত্নীই যে কেবল ভগিনীর ন্যায় আমার পরিচর্য্যায় রত হইলেন তাহা নহে ; আহার করিতে গেলেই দেখিতে পাইতাম, অপরাপর বাঙ্গালী বাড়ী হইতেও নানা প্রকার তরকারী ও মিষ্টান্ন আসিয়াছে । সকল বাড়ীর মেয়েরা কোমর বঁাধিয়া আমার সেবায় লাগিয়া গেলেন। মহোৎসাহে বক্তৃতা, উপাসনা, আলোচনা প্রভৃতি চলিল। এদিকে পাঞ্জাবী ও বাঙ্গালী বন্ধুরা লালসিংকে জিজ্ঞাসা করিতে লাগিলেন, “তোমাদের খরচপত্র কিরূপে চলছে ? যাবার খরচ আছে তা ?” লালসিং আমার আদেশ অনুসারে বলিতে লাগিলেন, “আমাদের আর্থিক অবস্থা জানাতে নিষেধ। কেহ কিছু দিতে ইচ্ছা করেন, দিতে পারেন।” পরে যেদিন যাবার দিন আসিল, আমরা ষ্টেশন অভিমুখে চলিলাম। বন্ধুরা দল বাধিয়া আমাদের সঙ্গে চলিলেন। পথে আরও মানুষ জুটিল। একটি মস্ত দল সহ যাইতেছি, এমন সময় পথে হঠাৎ কে আমার পকেটে হাত দিল। আমার প্রথমে মনে হইল, কে যেন আমার পকেট হইতে কি