পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ορ οι শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ১৩শ পরিং কেন নিজের নামে আমাদিগকে গাল দিলেন না ? বুঝতাম, মার্ক্সষ মানুষের সঙ্গে কারবার করছে। তা না ক’রে ঈশ্বরকে রঙ্গভূমিতে অবতীর্ণ করা, ও ঈশ্বরের মুখে অপভাষা দেওয়া,-এ কি-রকম ব্যবহার ? ঈশ্বরে প্রীতি থাকলে মানুষ কি এ রকম পারে ?” এইরূপ বাদানুবাদ হইতে হইতে আমরা বঁকিপুর পৌছিলাম। র্তাহারা সদলে সেখানে নামিয়া গেলেন । یi" র্তাহারা নামিয়া গেলে আমার দুঃখ হইল যে, সমাজ সম্বন্ধীয় বিবাদের এত দিন পরে কেশব বাবুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হইল ; আবার আমি কেন এত উত্তপ্ত হইয়া কথা কহিলাম ? যাহা হউক, আমার মনে এই একটা সাত্ত্বিনা আছে যে, তাহার বিরুদ্ধে যাহা বলিবার তাহার অধিকাংশ তাঁহার সম্মুখেই বলিয়াছি। কলিকাতায় ফিরিয়া গালাগালির কারণ অনুসন্ধান - অক্টোবরের মধ্য ভাগে আমি সহরে পৌছিয়া সণ্ডে মিরারের ঐ গালাগালির মূল কারণ শুনিলাম। ঐ বৎসরের মধ্য ভাগে সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের অগ্রণী সভ্যগণের মধ্যে এক ব্যক্তির নামে কেহ তঁহাদের নিকট অতি জঘন্য দুশ্চরিত্রতার কুৎসা করে। তঁহারা তাহা বিশ্বাস করিয়া লন। রবিবাসরীয় মিরারে ঐ ঈশ্বরীয় উক্তি তাহারই ফল। যে কুৎসাটা ইহারা বিশ্বাস করিয়াছিলেন, তৎসম্বন্ধে এইমাত্র বক্তব্য যে, আমি তখন কলিকাতায় ছিলাম না, নিজে অনুসন্ধান করিতে পারি নাই। কিন্তু দ্বারকানাথ গাঙ্গুলী আমাদের মধ্যে সত্যানুরাগী, ন্যায়পরায়ণ, ও তেজীয়ান পুরুষ বলিয়া প্রসিদ্ধ ছিলেন ; তিনি কাহাকেও ছাড়িবার লোক ছিলেন না। তিনি আমাকে বলিয়াছিলেন যে, তিনি বহু অনুসন্ধান করিয়াও ঐ কুৎসার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পান নাই।