পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ร๒8 จ-๕๖ মাতার আত্মমর্য্যাদাবোধ ୪ କ সম্মুখেই কিছু জমি লইয়া একটি বসতবাটী নির্ম্মাণ করিলেন। পিসীমা সপরিবারে সেখানে উঠিয়া গেলেন। আমার বয়স তখন দুই কি আড়াই বৎসর হইবে। O বড় পিসী উঠিয়া গেলে গৃহে শান্তি হইল বটে, কিন্তু আমার মার আর এক প্রকার সংগ্রাম উপস্থিত হইল। একমাত্র দাসী সহায় করিয়া সেই বৃদ্ধ দাদাশ্বশুর ও শিশুপুত্রের রক্ষণাবেক্ষণে নিযুক্ত হইতে হইল। একলা ঘরে একলা স্ত্রীলোক পাইয়া চোরে বড় উপদ্রব আরম্ভ করিল। কয়েক বার সিদ হইল। এক রাত্রে এক ঘরে পাঁচ জায়গায় সিঁদ ফুটাইয়াছিল। মাতার আত্মমর্য্যাদাবোধ ।—এক দিকে চোরের উপদ্রব্য, অপর দিকে দুষ্ট লোকের উপদ্রব । বাবা তখন কলিকাতায় আমার মাতামহের বাসায় থাকিয়া সংস্কৃত কলেজে পড়িতেছেন। সুতরাং আমার মাকে বৎসরের অধিকাংশ কাল সশঙ্ক চিত্তে একাকিনী থাকিতে হইত, এবং আত্মরক্ষার জন্য অনেক সময় উগ্রমূর্ত্তি ধারণ করিতে হইত। সেই অবধি মায়ের এমন একটা আত্মমর্য্যাদাজ্ঞান জন্মিয়াছিল যে, তাহার মর্য্যাদার অণুমাত্র লঙ্ঘন হইলে, তাহ সহ্য করিতে পারিতেন না ; লঙ্ঘনকারীকে জানিতে দিতেন যে, ঐ স্ত্রীলোকটির ভিতরে মেহের বারিধারার ন্যায় আগ্নেয়গিরির অগ্নিও আছে। আমার মাতার আত্মমর্য্যাদাজ্ঞানের দৃষ্টান্ত স্বরূপ দুইটি ঘটনার উল্লেখ করিতেছি। একটি আমার শৈশবে ঘাঁটিয়াছিল, অপরটি বহু বৎসর পরে। প্রথম ঘটনাটি এই ॥-পাঁচ বৎসর বয়স হইলেই মা আমাকে গ্রামের একটি পাঠশালে দিলেন । বসুপাড়ায় বসুদের বাড়ীতে এক বৰ্দ্ধমেনে গুরুর পাঠশালা ছিল, তাহাতে আমাকে ভক্তি করা হইল। আমি তালপাতে লিখিতে আরম্ভ করিয়াই দিন দিন সমপাঠী বালকদিগের অপেক্ষা উন্নতি দেখাইতে লাগিলাম। ইহার কারণ এই, আমার মা সে সময়কার তুলনাতে অনেক লেখাপড়া জানিতেন। আমার বাবা