পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

燃。 నీe & শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ১৪শ পরিঃ প্রশ্ন এই, এত হাজার টাকা কোথায় গেল ? ভাল কাজেই গিয়াছে। সমাজের বন্ধুগণ আমাকে চিরদিন যাহা দিয়া আসিতেছেন, তাহা কোনও দিন আমার ব্যয় নির্বাহের উপযুক্ত হয় নাই। আমার জননীর পীড়ার জন্য অনেক বার কলিকাতায় স্বতন্ত্র বাসা করিয়া তীহাকে আনিয়া রাখিতে হইয়াছে। দেশে পর্ণ কুটীরের পরিবর্তে জনক জননীর মাথা রাখিবার জন্য পাক ঘর করিয়া দিয়াছি। তদ্ভিন্ন আমার পূর্বকার দেন শোধ করিয়াছি। তদ্ভিন্ন ব্রাহ্মসমাজের যে যে কার্য্যের ভার প্রধান রূপে আমার উপরে পড়িয়াছে, তৎসংক্রান্ত ঋণ শোধের জন্যও অনেক টাকা দিতে হইয়াছে ; যথা, সাধনাশ্রম, প্রথম ব্রাহ্ম বালকনিবাস, বঁকিপুরের রামমোহন রায় সেমিনারি, প্রভতি । ধন্য মঙ্গলময় ঈশ্বরের কৃপা ! তিনি তঁহার অনুপযুক্ত ভৃত্যকে চিরদিন পালন করিয়াছেন। আশ্চর্য্য রূপে আমার আর্থিক অভাব পূর্ণ করিয়াছেন। এ সম্বন্ধে কিছু উল্লেখযোগ্য বিষয় আছে। আমি যখন ভবানীপুর সাউথ সুবাৰ্বন স্কুলের হেড মাষ্টার ছিলাম, তখন আমার কিছু টাকা চুরি যায়, এবং অপরাপর প্রকারে ঋণগ্রস্ত হইয়া পড়ি। তখন বন্ধুবর দুৰ্গামোহন দাস আমাকে ৪০০ চারি শত টাকা কার্জ দেন, এবং বন্ধুবর আনন্দমোহন বসু। ২৫০ কি ৩০০ টাকা কার্জ দেন। পরে যখন সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ স্থাপিত হইয়া আমি ইহার প্রচারক দলে প্রবেশ করিতে উন্মুখ হই, তখন দুৰ্গামোহন বাবু ও আনন্দমোহন বাবুর কাছে প্রথমে গিয়া বলি, “দেনার টাকার কি হবে ? ঋণ থাকিতে আমি কিরূপে চাকুরী ছাড়িয়া প্রচার কার্য্যে ব্রতী হইব ?” তাহারা তখন আমার এই চিন্তাকে হাসিয়া উড়াইয়া দেন। বলেন, “সমাজের জন্য আমাদিগকে কত শত টাকা দিতে হবে, তুমি কি সামান্য ঋণের টাকার কথা বল । ও টাকা আমাদের সমাজে দান।” আমি বলি, “আচ্ছা, আমি যদি কখনও কোন প্রকারে টাকা উপাৰ্জ্জন করি,