পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চুর্ভিক্ষের অনাথ শিশু ৩ইঞ্চি : { لاند উঠানে আসিল । আমি উপরে আসিবার জন্য কত ডাকিলাম, কোন মতেই আসিল না। অবশেষে খাইতে দিবার জন্য একখানি আপাম। লইয়া নীচে গেলাম। আমি বলিলাম, “হাত পাত।” হাত পাতিল, কিন্তু আমি যখন আপাম দিতে গেলাম, তখন পাছে হাতে হাতে ঠেকাঠেকি হয়। এই ভয়ে হাত সরাইয়া হইল। তখন আমি তাহার তাত ধরিয়া হাতে আপমখানা দিলাম, এবং তাহাকে টানিয়া উপরে লইয়া গেলাম। একটি ছোট ঘর দেখাইয়া দিয়া বলিলাম, সে ঘরে সে রাত্রে থাকিবো ; এবং যে বাড়ীতে আমি খাই সে বাড়ীতে খাইতে পাইবে । এই বলিয়া চাকরের হাতে তাহাকে দেখিবার ভার দিয়া, বন্ধুর বাড়ীতে আহার করিতে গিয়া, তঁহার পত্নীকে সমুদয় বিবরণ বলিয়া, তাহাকে খাইতে দিবার জন্য অনুরোধ করিলাম। তিনি স্বীকৃত হইলেন। ছেলেটি কিছু দিনের মত আমার কাছে থাকিয়া গেল। আমি নিশ্চিন্ত আছি যে সে যথা সময়ে আহার পাইতেছে। কিন্তু এক দিন প্রাতে কোন কাজে বাহির হইয়া বাড়ীতে ফিরিতে অনেক বিলম্ব হইল। আমার আহারের নির্দিষ্ট সময় উত্তীর্ণ হইয়া গেল। আমি আহার করিতে গিয়া দেখি, বাহিরের দরজার সম্মুখে রাস্তার উপরে একখানা পাতে কুকুবের মত' ছেলেটাকে ভাত দেওয়া হইয়াছে ; সে বসিয়া আহার করিতেছে। দেখিয়া ভিতরে গেলাম। আহারে বসিয়া বন্ধুর পত্নীকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “আমার ছেলেটাকে কুকুরের মত।” রাস্তায় ভাত দেওয়া হয় কেন ?” তিনি হাসিয়া বলিলেন, “ওর যে জাত গেছে। ও শ্রেণীর লোক ভদ্রলোকের বাড়ীতে প্রবেশ করতে পায় না । ওরা সকলেই ত রাস্তায় খায়।” : թ তার পর তঁহার সঙ্গে যে কথোপকথন হইল, তাহা এই - আমি। তুমি কি মনে কর, আমার জাত গেছে কি আছে ? তুমি ত জান, আমি সকল জাতির বাড়ীতে খাই। কত দিন তোমাকে স্ব’লে