পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

stáir 2 ] যদুমণি ঘোষ · · · WS) দেখেন ; ঝির অন্য কাজ আছে, তাকে সরিয়ে ঠাকরুন আপনার দুধ জ্বাল দিতে বসলেন, এ ত মায়ের কাজ করলেন। এর ভিতরে আবার কি আছে ? তঁর ভালবাসার জন্য তঁাকে ধন্যবাদ করা উচিত । যদুমণি। না, আপনি বুঝলেন না ! আমাকে বিষ খাওয়াবার চেষ্টা, তা হ’লে আর টাকাগুলো দিতে হবে না। আমি ( দুই কানে হাত দিয়া ) । ছি, ছি, এমন কথা শুনলেও পাপ হয়। আপনি ঐ সাধবী সতী সরল হৃদয়া নারীকে আজও চেনেন নাই। যদুমণি। আচ্ছা, আমি ভুবনমোহন দাস এন্টনির নিকট চললাম। আইনানুসারে কি করা যায় আমাকে দেখতে হবে। আমি উঠিয়া হাতে ধরিলাম, ‘বসুন বসুন, যা করবার আমরা ক’রে দেব, ব্যস্ত হবেন না । স্নান করুন, আহার করুন, শান্ত হোন।” তিনি আমার অনুরোধ উপরোধের প্রতি কর্ণপাত না করিয়া আমার হাত ছাড়াইয়া ভবানীপুর যাত্রা করিলেন। আমার লেখা পড়িয়া রহিল ; আমি তখনই ভুবনমোহন দাসকে লোকের হস্তে এক পত্র পাঠাইলাম, যেন এই উন্মাদগ্রস্ত ব্যক্তির কথায় তিনি কর্ণপাত না করেন। ভুবন বাবুকে পত্র লিখিয়াই কমল কুটীরে কেশব বাবুর নিকট ছুটিলাম। তঁহাকে গিয়া সমুদয় বিবরণ বলিলাম। কেশব বাবু। কি আশ্চর্য্য ! ওর মনে মনে এত সন্দেহ হচ্ছে, তার কিছুই তা আমাকে জানতে দেয় নি। আমি। এই তা আমারই আশ্চর্য্য মনে হচ্চে। আপনি হাণ্ডনেট যদি দিলেন, তাতে ষ্ট্যাম্প দেওয়া উচিত ছিল। ঐটে তার সন্দেহের কারণ २CशCछ । কেশব বাবু। আরে, ঐ হাণ্ডনেট কি সে নেয় ? কোনও মতে নিতে চায় না ; অবশেষে কতটা টাকা নেওয়া গেল তার একটা লিখিত নিদর্শন তার কাছে রাখবার জন্য আমি জোর ক’রে এটা লিখে দিলাম।