পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

x臀va-bx] ব্রাহ্মমিশন প্রেস- ატაუემ ত্যাগ করেন। তখন সমাজের উহার স্বত্বাধিকারী হওয়া আবশ্যক হয়, এবং আমি প্রস্তাব করি যে, কাগজের নাম পরিবর্তন করিয়া, তাহাকে ধর্ম্মভাবপ্রধান করিয়া, রাজনীতিকে দ্বিতীয় স্থানে রাখিয়া, একখানি কাগজ বাহির করা হউক। তদনুসারে ‘ইণ্ডিয়ান মেসেঞ্জার’ ( Indian Messenger ) নামে কাগজ বাহির করা হয়, এবং আমি তাহার সম্পাদক হই । ব্রাহ্মমিশন প্রেস -ইণ্ডিয়ান মেসেঞ্জার প্রথমে অন্যের ছাপাখানাতে ছাপা হইত, তাহাতে অধিক বায় লাগিতা এবং প্রেসের সহিত আমার সর্বদা ঝগড়াঝাটি হইত। সেজন্য সমাজের স্বতন্ত্র প্রেস করা আবশ্যক বোধ হইল। কিন্তু সমাজের সভ্যগণ আগ্রে একটি প্রেস করিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছিলেন বলিয়া আর প্রেস স্থাপন করিতে নারাজ হইলেন। স্বৰ্গীয় বন্ধু দ্বারকানাথ গাঙ্গুলী মহাশয় কমিটিতে বার বার আমার প্রস্তাবে বাধা দিতে লাগিলেন । কিন্তু এই কয় বৎসরে আমার মনের ভাব এইরূপ দাড়াইয়াছিল যে, যেটি আমি সমাজের জন্য অত্যাবশ্যক মনে করিতাম সেটি আমাকে করিতেই হইত। বন্ধুরা যদি বাধা দিতেন তাহা হইলে নিজের শক্তিতে কুলাইলে নিজেই সে কাজ করিতাম, পরে তঁাহাদিগকে বুঝাইয়া সে কাজে লইবার চেষ্টা করিতাম। তদনুসারে নিজে টাকা কার্জ করিয়া ‘ব্রাহ্মমিশন প্রেস” ( Brahmo Mission Press ) নামে একটি মুদ্রাযন্ত্র স্থাপন করিলাম । ये ११ পরে প্রেসের টাকা হইতে শোধ করা হইয়াছে। এই প্রেস স্থাপন বিষয়ে আমাকে অতি কঠিন পরিশ্রম করিতে হইয়াছিল। অক্ষরওয়ালার সহিত অক্ষরের বন্দোবস্ত করা, বাজারে গিয়া প্রেস প্রভৃতি ক্রয় করা, প্রিণ্টার প্রভৃতি নিযুক্ত করা, কাজ চালাইবার উপযুক্ত লোক প্রভৃতি স্থির করা, প্রতি দিন তাহদের কার্য্য পরিদর্শন করা, প্রভৃতি সমুদয় কাজ করিতে হইত। ওদিকে এই RR