পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪

তাহা কাটিয়া আবার নূতন করিয়া লিখিয়াছেন ; কোনও কোনও বিরণ একাধিক বার এই রূপে কর্ত্তত ও পুনর্লিখিত হইয়াছে ; কোথাও বা কতকগুলি পাতা আড়া-আড়ি দুইটি রেখার দ্বারা এক বার কাটিয়া দিয়া, পুনরায় সেই রেখা দুটিকেই কাটিয়াছেন, ও পার্শ্বে লিখিয়াছেন “উঠিবে ন” ; কতকগুলি পত্রে এই কাটাকুটির পরিমাণ এত অধিক যে, মনে হয়। গ্রন্থকার স্বয়ং শেস পর্য্যন্ত স্থির করিতে পারেন নাই যে ঐ অংশগুলি রাখিবেন কি বৰ্জন করিবেন। প্রথম সংস্করণের প্রেসের কাপিতে এত বার কষ্টিত ও নানা স্থানে বিক্ষিপ্ত রচনাগুলি সর্ব্বত্র মাথাযথ ভাবে গ্রথিত হইতে পারে নাই । সমগ্র রচনাটির আদ্যোপােন্ত তুলনা পূর্ব্বক পাঠ করা এবং বিভিন্ন অংশের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করাও সম্ভব হয় নাই । দ্বিতীয় হেতু এই যে, গ্রন্থকার অনেক ঘটনার সােল তারিখ স্মরণ করিতে পারেন নাই ; পুরাতন পত্রিকাদি সংগ্রহ ও পাঠ করিয়া তারিখ নির্ণয় করা ও স্ট্রাতার শারীরিক অবস্থায় সম্ভব ছিল না । এই জন্য তিনি তঁহার বর্ণিত ঘটনা গুলিকে কালক্রমানুসারে সজ্জিত করিয়া যাইতে *iाgझन नाच्ने । দ্বিতীয় সংস্করণ কি ভাবে সম্পাদন করা হয়, তদ্বিষয়ে আমার ১৯১০ সালের আগষ্ট মাসে লিপিত “ব্ধি "ট্রীয় সংস্করণের সম্পাদকের নিবেদন” হইতে কিয়দংশ সংক্ষিপ্তঃকারে উদ্ধান্য ফাইতেছে। ( ১ ) গ্রন্থকার স্বয়ং, পুস্তকখানির সংস্কার সাধন করিলে কোনও কোনও অংশ বা গুক্তিন এবং কোন ও কোন ও অংশের পরিবর্তন করিতেন। বলিয়া আমার এবং আমার শ্রদ্ধাভাজন অনেক বন্ধুর বিশ্বাস হইয়াছিল । কিন্তু তদ্রুপ বৰ্জন ও পরিবর্তন করিতে বার বার অনুরুদ্ধ হইয়াণ্ডু আমি এই স্থির করি। “ যে, গ্রন্থকারের লেখার ته কোনও অংশ পরিবর্তন কিংবা ব্যঞ্জনের দায়িত্ব হঠাৎ গ্রহণ করা 刺