পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

iš শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [২য় পরিঃ ধিক্‌, তোর নাম সন্ত্রমকে ধিক ! অমুক কাকার কি কপাল, তোর জন্য এতগুলো টাকা বৃথা খরচ করেছেন।” যখন আগ্নেয়গিরির অগ্নিস্ফুলিঙ্গের ন্যায় এইরূপ বাক্যবাণ বর্ষণ চলিতে লাগিল, তখন অভয় মামা আর সহিতে না পারিয়া মায়ের পায়ে পড়িয়া বলিলেন, “দিদি । মাপ কর, অপরাধ হয়েছে।” অভয় মামাকে আমি বিদ্বান লোক ও গুণী লোক বলিয়া মনে মনে উচ্চ স্থান দিয়া রাখিয়ছিলাম । তিনি যখন আমার মায়ের পায়ে পড়িয়া গেলেন, তখন আমি চক্ষের জল রাখিতে পারিলাম না । তিনি চলিয়া গেলে মাকে বকিতে লাগিলাম, “তুমি আমাকে যেমন ক’রে বক’, তেমনি ক’রে অত বড় লোকটাকে বকলে ?” মা বলিলেন, “রেখে দে তোর বড় লোক, বড় লোকের মুখে ছাই!” সেদিনকার সে দৃশ্য আমি জন্মে ভুলিব না। আমার তেজস্বিনী মা একাকিনী পড়িয়াও এইরূপে তেঁাহার আত্ম মর্য্যাদাজ্ঞানের গুণে আপনাকে রক্ষা করিয়া চলিতে লাগিলেন । বাবা গ্রীষ্মের ছুটি ও পূজার ছুটির সময় বাড়ীতে আসিতেন। আমি তঁহাকে যমের মত।” ডরাইতাম, কারণ তিনি সামান্য সামান্য কারণে আমাকে उठशांनद भांज़िडन ! মাতার স্নেহ ও ধর্ম্মনিষ্ঠ —আমার মা আমাতে কিছু অন্যায় দেখিলে রাগ করিতেন এবং, সাজা দিতেন বটে, কিন্তু আমার প্রতি তাহার কি প্রকার স্নেহ ছিল, তাহার বর্ণনা হয় না । একবারকার একটা ঘটনা মনে আছে। তখন আমার বয়স চারি পাঁচ বৎসরের অধিক হইবে না। সেই সময়ে এক বার আমার গুরুতর পীড়া হইয়াছিল। সেই পীড়ার অবস্থাতে মা ইষ্টদেবতার চরণে প্রণত হইয়া প্রতিজ্ঞা করিলেন যে, তঁহার কৃপায় ছেলে যদি সারিয়া যায়, তাহা হইলে তিনি হাতে মাথাতে ধূনা পোড়াইবেন, এবং নিজের বুক চিরিয়া রক্ত দিয়া দেবতার স্তব লিখিয়া