পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VGR শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ১৬শ পরিঃ এইরূপ চলিতেছিল, মধ্যে বাবা কর্ম্ম হইতে অবসৃত হইয়া नईँछ করিলেন, দেশভূমি পরিত্যাগ করিয়া কাশীবাসী হইবেন, যেন আর অধম পুত্রের মুখ দর্শন করিতে না হয়। বাবা মা কাশীতে বসিবার পূর্ব্বে গয়া বৃন্দাবন প্রভৃতি তীর্থ দৰ্শন করিতে বাহির হইলেন। তখন আমি তঁহাদের তীর্থ ভ্রমণের ব্যয়ের জন্য অর্থ সাহায্য করিলাম, বাবা দয়া করিয়া তাহা গ্রহণ করিলেন ; আমি আপনাকে কৃতার্থ মনে করিলাম। ক্রমে র্তাহারা কাশী ধামে আসিয়া বাস করিলেন । সেখানে বাবার মান সম্রাম হইল। তঁহার পেনসনের টাকাতে ও আমার সামান্য সাহায্যে তঁাহারা সুখে বাস করিতে লাগিলেন। আমি আমার ভগিনী ঠাকুরদাসীকে পৈতৃক ভিটাতে স্থাপন করিয়া এক প্রকার নিশ্চিন্ত মনে বাস করিতে ढदिनभ । দিন এই প্রকার চলিতেছে, এমন সময়ে ১৮৮৮ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারী রবিবার রাত্রে আমি ব্রাহ্মসমাজের বেদী হইতে নামিয়াছি, এমন সময় কাশী হইতে আমার এক জন ডাক্তার বন্ধুর নিকট হইতে তারে সংবাদ পাইলাম যে, পিতাঠাকুর মহাশয় গুরুতর পীড়িত, আমাকে অবিলম্বে যাত্রা করিতে হইবে । আমি তৎক্ষণাৎ প্রস্তুত হইয়া আমার দ্বিতীয়া পত্নী বিরাজমোহিনীকে সঙ্গে লইয়া তৎপরবত্তী টেনে কাশী যাত্রা করিলাম। পর দিন দুপুর বেলা কাশীতে পৌছিয়া পথে সেই ডাক্তার বন্ধুর বাড়ীতে গিয়া শুনি, বাবা ওলাউঠা রোগে আক্রান্ত, নাড়ী নাই। আমি ডাক্তার সঙ্গে করিয়া বাবার বাসাতে গিয়া উপস্থিত হইলাম। তঁহার নাড়ী নাই, তাহার উপর হিঙ্কা হইয়াছে, সকলে মহা উদ্বিগ্ন । এই অবস্থাতে আমি গিয়া যখন নিকটে দাড়াইলাম, তখন বাবা আঠার বৎসরের পর প্রথম আমার মুখের দিকে চাহিলেন, কিন্তু আমাকে দেখিয়া মুখ ফিরাইলেন। বিরাজমোহিনীকে তিনি বড় ভালবাসিতেন ; বিরাজমোহিনী যখন তঁহার পদধূলি লইয়া তাহার শয্যাপার্শ্বে বসিলেন, তখন