পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচরিত [। ১৭শ পরিঃ খুলিতে আসিল সে মাতাল, ভাল করিয়া যেন দাড়াইতে পারিতেছে না ; . যারা এক সঙ্গে এক কামরাতে আসিয়া বসিল, তারা পুরুষ মেয়ে নেশাতে চুর। নামিয়া ট্রামে বসিলাম, আরোহীদের মধ্যে কে কার গায়ে ঢলিয়া পড়ে। সার সঙ্গে কথা কহি, তার মুখেই মদের গন্ধ। দেখিতাম, আর মনে ভাবিতাম, এত বড় জাতিটার যদি এই পান দোষটা না থাকিত, তাহা তইলে আরও কত কাজ করিতে পারিত ! চারি দিকেই ইংরাজ জাতির পানাসক্তির নিদর্শন প্রাপ্ত হইতাম । কোথাও পথের পাপ্নে দেখি, পর্ব্ব তাকার আমাদের দেশের ধান্যের স্তুপ রহিয়াছে। দাড়াইয়। কারণ জিজ্ঞাসা করিয়া জানিলাম, ঐ ধান্যরাশি হইতে মদ প্রস্তুত হইয়া পচা ধান্য পরিত্যক্ত হইয়া7ছ। দেখিয়া মনে DBDBBS DS DDDSDBD S S BDBBB SLLDB BBDBS DD DBBDD লোক মারিতেছে, আর তাদের মুখের অন্ন আনিয়া এই ব্যবহারে লাগাইতেছে।”

  • যে বাড়ীতে আমি থাকি,তাম, সে বাড়ীর বাড়া ওয়ালা এক জন বৃদ্ধ । তিনি, তার পত্নী, ও তিনটি অবিবাহিত। মেয়ে, এই তঁহাদের পরিবার। আহারের সময় মেয়েদিগকে সুরাপান করিতে দেখি নাই। কিন্তু বৃদ্ধ পিতা প্রতি দিন বৈকালে আহারান্তে ঐ ভোজন স্থানেই বসিয়া প্রায় রাত্রি বারটা পর্য্যন্ত পড়িতেন। পড়া চলিয়াছে এবং ঘন ঘন সুরাপান চলিয়াছে। এই জন্য তঁার হাতের নিকট এক জগৎ ( ক্ষুদ্র কলস ) ধেনো মদ ( ale ) রাখা হইত। পড়া শেষ হইতে হইতে প্রায় কলসটি খালি হইত। শুইতে যাইবার সময় যদি কোনও দিন তঁর সঙ্গে কথা কহিতাম, দেখিতাম নেশাতে বৃদ্ধের গলার স্বর বদলিয়া গিয়াছে। -

অথচ এই পরিবারের মধ্যে ধর্ম্মভাব বিলক্ষণ ছিল । প্রতি দিন প্রাতে র্তাহারা সপরিবারে উপাসনা করিতেন এবং রবিবারে নিয়মিত রূপে উপাসনা মন্দিরে যাইতেন। বিশেষ ভাবে বৃদ্ধ কর্ত্তার ধর্ম্মভাব দেখিতাম।