পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ཁྱག་ শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ১৭শ পরিঃ আসিলে ত আর পূর্বের ন্যায় সমাজে মিশিতে পায় না, লোকে তাহাদিগকে কাজ দিতে ভয় পায়, ঘরে রাখিতে ভয় পায়, সমাজে তাহদের সঙ্গে মিশিতে লজ্জা বোধ করে। তখন তাহদের কি অবস্থা দাঁড়ায় । এই কারণেই বোধ হয় অনেক কারামুক্ত লোক আবার অপরাধে লিপ্ত হইয়া কারাগারে ফিরিয়া যায়। কারামুক্ত মানুষদিগকে সুপথে রাখিবার জন্য ও সমাজে প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য কিছু করা যায় কি না ?” এই চিন্তা করিতে করিতে কতিপয় ভদ্রলোক ‘কারামুক্তের সাহায্য সভা’ নামে এক সভা স্থাপন করিলেন । তাহার ফল। এই হইয়াছে যে, ইংলণ্ডের অনেকগুলি কারাগার কয়েদীহীন হইয়াছে। বিবিধ সদনুষ্ঠান।—সেখানকার সহৃদয় মধ্যবর্ত্তী শ্রেণীর পুরুষ ও নারীগণের পরোপকার সম্পৃহার কথা অধিক কি বলিব ! সেখানে অনেক ভদ্র মহিলা হাসপাতালে রোগীগণের নিকট ফুলের তোড়া পাঠাইবার জন্য স্থানে স্থানে সভা করিয়াছেন ; নিম্ন শ্রেণীর দরিদ্র শিশুদিগকে বড়দিনের সময় পুতুল উপহার দিবার জন্য বড় বড় সভা করিয়াছেন ; বড় বড় সহরে নিম্ন শ্রেণীর বালক বালিকাদিগকে মধ্যে মধ্যে সহরের বাহিরে লইয়া গিয়া বিশুদ্ধ বায়ু সেবন করাইবার ও প্রকৃতির শোভা দেখাইবার জন্য সভা করিয়াছেন। বস্তুতঃ মানবের পরহিতৈষণা প্রবৃত্তি হইতে কত প্রকার সদনুষ্ঠান উৎপন্ন হইতে পারে, তাহা দেখিলে বাস্তবিকই বিস্মিত হইতে হয়। প্রজা সাধারণের মধ্যে জ্ঞান বিস্তারের চেষ্টা -আমি সে দেশে পৌছবার কিছু দিন পূর্ব্ব হইতে সে দেশের প্রজা সাধারণের মধ্যে জ্ঞান বিস্তারের চেষ্টা চলিতেছিল । শিক্ষিত ব্যক্তিগণ অশিক্ষিত শ্রমজীবীদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের প্রয়াস পাইতেছিলেন । 疆 ‘টয়নবী হল” ও “পী পলস প্যালেস’।-ইহার একটু ইতিবৃত্ত আছে। মিষ্টার টয়নবী (Arnold Toyonbeel ) নামে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি যুবকের মনে হইল যে, শীৰ্তাহার যখন অবস্থা ভাল,