পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৮৮ ] : ; মধ্যবিত্ত শ্রেণীর নারীগণের উন্নত চরিত্র 8eర్థి সেলাই করিয়া আনে, এট, ওটা করিতে বলে, নির্জন গৃহে কাছে আসিয়া “কেমন আছ, তোমার মুখ কেন শুকনো” প্রভৃতি প্রশ্ন যখন জিজ্ঞাসা করে, তখন আমাদের বাঙ্গালী যুবকটির চিত্ত বড় বিচলিত হয়। কিন্তু ছেলেটি ভাল বলিয়া সে মনে মনে এই সংগ্রাম নিবারণ করে, মেয়েটিকে কিছুই জানিতে দেয় না। এই অবস্থাতে সে অবশেষে স্থির করিল যে, সে-বাড়ীতে আর তার থাকা উচিত নয় ; কখন কি বলিয়া ফেলিবে, কখন কি করিয়া বসিবে, তার ঠিক কি ! একটা মহা ক্লেশকর ব্যাপার ঘটিবে। সে অন্যত্র বাসা লইবে, এইরূপ স্থির করিয়া, এক দিন সায়ৎকালীন আহারের সময় কারণ নির্দেশ না করিয়া যুবকদম্পতীকে ঐ সঙ্কল্প জানাইল। তাহারা উভয়েই মহা দুঃখিত হইয়া তাহাকে থাকিবার জন্য ব্যগ্রতা সহকারে অনুরোধ করিতে লাগিল। তখন আর সে অধিক কিছু বলিতে পারিল না ; সে যে ঘোর প্রলোভন ও সংগ্রামের মধ্যে বাস করিতেছে, তাহ জানিতে দিল না। দুশ্চিন্তাতে রাত্রে তাহার ভাল নিদ্রা হইল না। পর দিন দুপুর বেলা মাথা ধরিয়া সে অসময়ে কলেজ হইতে বাড়ীতে আসিল। তখন একাকিনী সেই মেয়ে ঘরে আছে ; পতি দোকানে। সে আসিয়া মেয়েটিকে বলিল, “দেখ, আজ মাথাটা বড় ধরেছে, আমাকে এক পেয়ালা চা ক’রে দিতে পার ?” মেয়েটি বলিল, “পারি বৈ কি ?” এই বলিয়া চা প্রস্তুত করিতে গেল। চা লইয়া আমাদের যুবকের নির্জন বৈঠক গৃহে আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “তোমার কি হয়েছে ? কেন মাথা ধরেছে ? তোমার মুখ বড় খারাপ দেখাচ্ছে, রাত্রে কি ঘুমাও নাই ? তোমার মনে কোনও অসুখ নিশ্চয় আছে ; কি, তা বল না। আমাদের দ্বারা যদি দূর হয়, আমরা তা করতে রাজি আছি।” ইত্যাদি। এই সন্ধিক্ষণে আমাদের যুবকটি মেয়েটির মুখের দিকে চাহিয়া আর আত্মসংবরণ করিতে পারিল না । মনের আবেগে তাহার হাতখানি