পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Boy' শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত · C ১৯শ পরি: ইহাদের ভবন হইতে ফিরিবার সময় প্রফেসর . নিউম্যানের ভবনে ; দুই দিন অতিথি রূপে ছিলাম, তাহার বর্ণনা পুর্বেই করিয়াছি। ” স্ত্রীটের রেলওয়ে ষ্টেশনে গিয়া দেখি, ক্যাথারিন গাড়ি লইয়া উপস্থিত। অৰ্দ্ধ দণ্ডের মধ্যে আমার জিনিসপত্র গাড়িতে উঠিল, ক্যাথারিন আমাকে পাশে বসাইয়া গাড়ি হাকাইয়া চলিলেন। দুপুর বেলা বাড়ীতে পৌছিয়া তঁহার মাতাকে দেখিলাম ; তঁাহার দিদীকে দেখিলাম না; তিনি তখন তাহার। আপীসে আছেন। আমাকে কিঞ্চিৎ জলযোগ করাইয়াই ক্যাথারিন বলিলেন, “চল, বেড়াইয়া আসি।” এই বলিয়া আমাকে এক নিৰ্জন পাহাড়ের উপর বনের ভিতর লইয়া গেলেন। গিয়া বলিলেন, “আমার ধর্ম্মজীবনের অবস্থার বিষয় তোমাকে বলিবার জন্য এই নির্জনে আনিয়াছি। আমি প্রাতঃকাল হইতে হাটিয়া বড় ক্লান্ত আছি, আমি এই ঘাসের উপর শুইয়া কথা কহিব, তুমি কিছু মনে করিও না।” এই বলিয়া আমার সম্মুখে ঘাসের উপরে শুইয়া পড়িলেন, এবং নিজের ধর্ম্মজীবনে কিরূপে কি কি পরিবার্ত্তন ঘটিয়াছে, বলিতে লাগিলেন। তাহার সংক্ষিপ্ত বিবরণ এই । তিনি পঠদ্দশাতে এক জন সহাধ্যায়িনী বালিকার ভ্রাতার লংস্রবে। আসিয়া ব্রাডল’র দলের নাস্তিকদের পক্ষ অবলম্বন করিয়াছিলেন। ক্যাথরিনের মাতা ও ভগিনী। কিন্তু গোড়া খ্রীষ্টান। তঁহার ভাব পরিবর্তনের কিঞ্চিৎ আভাস পাইয়া জননী ও ভগিনী বড়ই দুঃখিত হন। কিন্তু জগদীশ্বর তঁহাকে ত্বরায় এই নাস্তিকতা হইতে উদ্ধার করেন। তখন তঁহার মত সার্বভৌমিক একেশ্বরবাদে দাড়ায়। এই সময়ে ঘটনাক্রমে ব্রাহ্মসমাজের কথা জানিতে পারিয়া তিনি এ বিষয়ে অনুসন্ধান আরম্ভ করেন। শেষে মনে মনে সঙ্কল্প করেন যে, অবিবাহিত থাকিয়া ঈশ্বর ও মানবের সেবাতে আপনার দেহ মনের সমুদয় শক্তি অৰ্পণ করিবেন। তাহাই তখন করিতেছেন ।