পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত · [ ২০শ পরিঃ في 8 বাড়ীতে আছ, নিজের ঘরে বসিয়া লিখিতেছি ; রাস্ত হইতে সাড়া নাই শব্দ নাই, কেবল মস মাস জুতার শব্দ শোনা যাইতেছে। কিন্তু এক বার যদি উঠিয়া জানালার কাছে দাড়াও, বোধ হইবে যেন রাস্তাতে টুপীর বন্যা আসিয়াছে, এত লোক যাইতেছে! দোকানে কাপড় কিনিতে যাও, যেই দ্বারটি ঠেলিবে অমনি কোথা হইতে টং করিয়া একটি ঘণ্টা বাজিবে ; প্রবেশ করিবামাত্র এক জন লোক উপস্থিত। আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে যাহা প্রয়োজন তাহাকে বল, অবিলম্বে , তাহ পাইবে ; দর। নাই, দস্তুর নাই, পাচ মিনিটের মধ্যে কাজ সমাধা । যেমন নিস্তব্ধ ভাবে কাজ করিবার রীতি, তেমনি সময় বাঁচান। এই গুণেই ইংরাজগণ কাজ করিবার এত সময় পান। বলিতে কি, ছয় মাস ইংলেণ্ডে বাস করিয়া আমার চুপে চুপে কথা কহার এরূপ অভ্যাস হইয়া গিয়াছিল যে, স্বদেশে ফিরিয়া বঙ্গ দেশের স্বরের মাত্রাতে উঠিতে অনেক দিন গেল। ঐ সময়ের মধ্যে র্যাহারা আমার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিতেন, তঁহাদের অনেকে জিজ্ঞাসা করিতেন, আমার অসুখ করিয়াছে কি না, নতুবা এত চুপে চুপে কথা কহিতেছি কেন ? আমি ইংরাজ জাতির এই নিৰ্জন বাস ও নিস্তব্ধতার বিশেষ ইষ্টফল দেখিয়াছি। প্রত্যেক ভদ্র ইংরাজের গৃহে একটি ঘর থাকে, যাহাকে Drawing Room বা বৈঠকখানা বলে । সে ঘরে কেহ শয়ন করে না, তাহা কেবল বন্ধু বান্ধব অতিথি অভ্যাগতগণের সহিত সাক্ষাৎ ও আলাপ করিবার ঘর। বাড়ীর লোকে সায়াহিক আহারের পর সেখানে বসিয়াই বিশ্রাম ও গল্পগাছা করেন ; লোকে দেখা সাক্ষাৎ করিতে আসিলে সেই ঘরেই দেখা সাক্ষাৎ হইয়া থাকে। কিন্তু গৃহস্বামীর যে একটি স্বতন্ত্র ঘর থাকে, সেখানে তিনি যখন বাস করেন, তখন সে ঘরে কেহ যায় না। . সে ঘরটিকে তঁহার Study বা পাঠাগার বলা হয় । তিনি সেখানে বসিয়া পাঠ ও. চিন্তা করিয়া থাকেন। ইকাতেই ইংরাজগণ বড় বড়