পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৮৮ ] সামাজিক সুখভোগ এবং ধর্ম্ম ও নীতিতে ঐকাস্তিকতা ৪১৭ কাজ করিতে পারিতেছেন : র্ত্যহাদের অধিকাংশ কাজ নির্জন বাস ও আত্মচিন্তার ফল । এক দিকে নির্জনে পাঠ ও চিন্তা, অপর দিকে সজনে কার্য্যদক্ষতা ও আবশ্যক হইলে বক্তৃত। ইংরাজগণ সজনে কাজ কর্ম্মে কিরূপ গুরুতর শ্রম করেন, তাহ দেখিলে আশ্চর্য্যান্বিত হইতে হয়। তখন এরূপ মন প্রাণ দিয়া কার্য্য করেন যে, দেখিলে মনে হয় যে তঁহাদের অন্য কর্ম্ম বুঝি নাই। সামাজিক সুখভোগের স্পাহার সহিত ধর্ম্ম ও নীতি বিষয়ে ঐকান্তিকতার সমাবেশ।।-পঞ্চম বিরুদ্ধ গুণের সমাবেশ, সামাজিকতা ও ধর্ম্মভাব ! আমি যখন সেখানে ছিলাম, দেখিতাম পর্ব্বাহ বা ছুটির দিনে হাজার হাজার লোক লণ্ডন সহর হইতে রেল যোগে বাহির হইয়া যাইত। সহরের বাহিরে কোনও মাঠে বা বনে আমোদ আহলাদে দিনটা অতিবাহিত করাই উদ্দেশ্য। ফিরিবার সময় রেলগাড়ি হইতে নামিয়া এক জন লোক যদি একটা ছোট পিয়ানোতে নাচের বাদ্য বাজাইল, অমনি দলে দলে পুরুষ ও নারী কোমরে কোমরে বাধাৰ্বাধি করিয়া রেলওয়ে প্লাটফরমে নাচিতে আরম্ভ করিল ! যেন আমোদ প্রাণে ধরিয়া রাখিতে পারে না । ইটালিয়ান ব্যাণ্ড নামে এক প্রকার বাদ্য যন্ত্র লইয়া লোকে দ্বারে দ্বারে বাজাইয়া পয়সা উপাৰ্জন করে। কোনও স্থানে সেই বাদ্য বাজিতেছে, দুইটি নিম্ন শ্রেণীর ১৭১৮ বৎসরের বালিকা কিছু কিনিতে বাজারে যাইতেছে ; যেই বাদ্য শোনা, অমনি কোমরে জড়াজড়ি করিয়া রাস্তার উপরে নাচ ! ইংরাজ জাতিতে সামাজিক সুখ ভোগের প্রবৃত্তি এইরূপ প্রবল ; কিন্তু তাহা বলিয়া লঘুচিত্ততা নাই। ন্যায়ান্যায়ের বিচার যখন আসে, রাজনীতি বা সামাজিক নীতির উৎকর্ষ বিধানের প্রস্তাব যখন উপস্থিত হয়, তখন ইংরাজ আপাদমস্তক ঐকান্তিকতায় পরিপূর্ণ! সত্যের জয় হইবেই হইবে, 之节