পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৮০

8象8 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত ' [ ২১শ পুরিঃ আসিতেছিলেন। বাৰ্দ্ধক্যে কবে চলিয়া যান, ইহা ভাবিয়া সেগুলি আমার হাতে অৰ্পণ করিবার জন্য আমাকে ডাকিলেন ও সেগুলি আমার হাতে অৰ্পণ করিলেন। আমি তঁহাকে ধন্যবাদ করিয়া সেগুলি গ্রহণ করিলাম, এবং দেশে লইয়া আসিলাম। দুঃখের বিষয়, আমি নানা স্থানে বাসা নাড়িয়া বেড়াইবার সময় অপরাপর ছোট ছোট স্মৃতিচিহ্নগুলি হারাইয়া ফেলিলাম। অবশেষে তঁহার মুন্নির্ম্মিত মূর্ত্তিটি ও শালের পাগড়ীটি বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের হস্তে দিয়াছি, তাহারা রক্ষা করিতেছেন। রাজা রামমোহন রায় বঙ্গসাহিত্যের জন্মদাতাদিগের মধ্যে এক জন ছিলেন, সুতরাং তঁহার স্মৃতিচিহ্ন বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ মন্দিরে রাখা অতীব কর্ত্তব্য, এই ভাব মনে আসাতে স্মৃতিচিহ্নগুলি তঁহাদের হাতে দিয়াছি। खम्भोज भीgउद्ध ইতিবৃত্ত লিখিবার नूष्व्ञ। |-আমি ছয় মাস কাল মাত্র ইংলেণ্ডে ছিলেন। যাহা যাহা দেখিয়াছিলাম, তদ্ব্যতীত দেখিবার আরও অনেক স্থান ও বিষয় ছিল । কিন্তু আমার স্কন্ধে গুরুতর এক কার্য্যের ভার পড়াতে শেষ কয়েক মাস আমার দেখা শোনার কিছু ব্যাঘাত ঘটিল। সে বিষয়টা এই। টু বনার (Trubner) নামক মুদ্রােকর কোম্পানীর ম্যানেজার এক দিন কুমারী কলেটের নিকট হস্তলিখিত । একখানি পুস্তক পাঠাইয়া লিখিলেন যে, সেখানি এক জন ভদ্রলোকের // লিখিত ব্রাহ্মসমাজের ইতিবৃত্ত ; তিনি যদি অনুগ্রহ করিয়া দেখিয়া ংশোধন করিয়া দেন, তাহা হইলে তঁাহারা ছাপিতে পারেন। কুমারী কলেট পড়িয়া দেখিলেন তাঁহাতে অনেক স্থলে ভুল আছে; তাহা না ছাপাই ভাল। এই কথা বলিয়া তাহাদিগকে লিখিলেন, “ব্রাহ্মসমাজের এক জন নেতা এখন এখানে আছেন ; তোমরা যদি ব্রাহ্মসমাজের ইতিবৃত্ত ছাপিতে চাও, তাহা দ্বারা লিখাইয়া দিতে পারি।” এই বলিয়া আমাকে ব্রাহ্মসমাজের, ইতিবৃত্ত লিখিবার জন্য ধরিয়া বসিলেন। আমি তঁহার