পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:১৮৮৯,৯০ ], নাম্বুরী ব্রাহ্মণ ও নায়ারদিগের সামাজিক প্রথা 88) নাযারগণ বোধ হয় আদিতে ক্ষত্রিয় ছিলেন এবং ব্রাহ্মণগণের সহিত এদেশ জয় করিতে আসিয়াছিলেন । নায়ারগণের বীরত্বের অনেক কথা শুনিলাম । কালিকটে নাম্বুরী ব্রাহ্মণ ও নায়ারদিগের সামাজিক প্রথা । —সেখানে কতকগুলি প্রথা। 6नश्लिशि, शांश अडौत्र त्रिश्नक। अशश' দেখিলাম, ব্রাহ্মণ বা গুরুজনদিগকে দেখিলে নােয়র বা শূদ্র স্ত্রীলোকদিগকে বক্ষঃস্থল অনাবৃত করিতে হয়। শুনিলাম, তাহ ব্রাহ্মণ ও গুরুজনদিগের প্রতি সন্ত্রম প্রকাশের চিহ্ন ! এ সম্বন্ধে একটি গল্প শুনিলাম। এক বার টিপু সুলতান নাকি উপহাসাচ্ছলে এক জন নােয়র পুরুষকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, “নায়ার যুবতীদের বক্ষঃস্থল অনাবৃত কেন ? লোকে ত অপমান করিতে পারে।” তদুত্তরে নােয়র পুরুষ বলিলেন, ‘নায়ারদিগের স্ত্রীগণের বক্ষঃ অনাবৃত, পুরুষদের তরবারিও অনাবৃত।” নায়ারদিগের বীরত্ব-খ্যাতি আছে। দ্বিতীয় সামাজিক নিয়ম যাহা দেখিলাম, তাহা একটি ঘটনা দ্বারা প্রকাশ করিতেছি। এক দিন অপরাহে এক জন ব্রাহ্মণ বন্ধুর সহিত বেড়াইতে বাহির হইয়াছি ; পথিমধ্যে দেখিলাম, এক জন নিম্ন শ্রেণীর লোক আসিতে আসিতে দশ বার হাত দুরে দাড়াইয়া গেল এবং কি বলিল। আমার বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করাতৃে তিনি বলিলেন, “ও আমাকে ব্রাহ্মণ বলিয়া জানে, এই জন্য দাড়াইয়া আমাকে সতর্ক করিতেছে, যেন উচ্চার বাতাস বা ছায়া আমার গায়ে না লাগে ; ইহাই আমাদের সামাজিক প্রথা। নিম্ন শ্রেণীর লোকদিগকে পথে ব্রাহ্মণ দেখিলে ঐ রূপ করিতে হয়।” আমি এরূপ সামাজিক শাসন আর্য্যাবর্ত্তে কখনও দেখি নাই ; দেখিয়া দাক্ষিণাত্যে জাতিভেদ প্রথা যে কত দূর গিয়াছে, তাহা বুঝিতে পারিলাম। তাহার পর যাহা শুনিলাম, তাহ অতীব বিস্ময়জনক । তাহা এই। শুনিলাম, নােয়র ও শূদ্র বালিকাদের বিবাহ নাই। বিবাহের বয়স হইলে