পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৪৭-৫৬] “তুমি কি আমার সেই খেলার সঙ্গিনী ?” s করিয়া খাইতে আরম্ভ করিত। তাহাতে আমার আনন্দই হইত। হাসির কথা এই, খাবারগুলি শেষ হইলেই আর সে । আমার প্রতি প্রেম দেখাইত না। সামান্য একটু কিছু মনের অনভিমত কাজ করিলেই আমাকে খামচাইয়া, গালি দিয়া, দাবা হইতে নামাইয়া দিত। আমি কঁদিতে কঁাদিতে ঘরে আসিতাম। মা বলিতেন, “খুব হয়েছে, বেশ হয়েছে; পাঁচশ বার বলি, খুঁড়ীর কাছে যাসনি, তবুও মরুতে যাস।” মা বারণ করিলে কি হয়, আমি খুড়ীর কাছে না গিয়া থাকিতে পারিতাম না ; বোধ হয় প্রশংসাটুকুর লোভে। ইংরাজ কবি cowper নিজের *C. Kifaritzar, Dupe of to-morrow even from a child Stifts frCSS, 14(ii (f(5 ft, Duped by praise even from a child “তুমি কি আমার সেই খেলার সঙ্গিনী ?”—সে কালের আর একটা কথা মনে আছে। একটি সুন্দর ফুটফুটে গৌরবর্ণ মেয়ে আমাদের পাশের বাড়ীতে তার মাসীর কাছে আসিত। সে আমার সমবয়স্ক । ঐ মেয়ে আসিলেই আমার খেলা-ধূলা লেখাপড়া ঘুচিয়া যাইত। আমি তার পায়ে পায়ে বেড়াইতাম। আমরা পাড়ার বালক বালিকা মিলিয়া “চাদ চাদ, কেন ভাই কঁাদ” প্রভৃতি অনেক খেলা খেলিতাম। তখন সে আমাদের সঙ্গে খেলিত। খেলার ঘটনাচক্রে যদি আমি তাহার সঙ্গে এক দলে না পড়িতাম, আমার অসুখের সীমা থাকিত না। আমি তার হাত ধরিয়া খেলার সঙ্গীদিগকে বলিতাম, “আমি এর সঙ্গে থাকিব, তোমরা আমার বদলে এ দল হ’তে ও দলে আর কারুকে দেও৷ ” বালকেরা আমার অনুরোধ রাখিত না ; বকিয়া, ঠেলিয়া, গলা টিপিয়া আমাকে আর এক দলে দিয়া আসিত। ঐ বালিকার বাড়ী আমাদের স্কুলের পথে ছিল। আমি স্কুল হইতে আসিবার সময় তাহার সঙ্গে দেখা করিয়া একটু খেলা করিয়া আসিতাম। ইহার পর আমি যখন কলিকাতায় আসিলাম